ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলেকট্রিক ট্রেন

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা

ঢাকা: রেলপথে গতি আনতে ও যাত্রী সুবিধার কথা চিন্তা করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ঘণ্টায় ২শ’ কিলোমিটার গতিবেগের ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মূল প্রকল্প প্রণয়নের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই ও সার্ভে কাজের জন্য ৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।



এবারই প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণের আগে নিয়ম অনুযায়ী সম্ভাব্যতা যাচাই বা সমীক্ষা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটির প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) এসএম গোলাম ফারুক,  বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ট্রেনে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর পাশাপাশি জ্বালানি খরচও হবে অনেক কম। এসব গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই পিইসি সভায় অনুমোদন পেল প্রকল্পটি। ২০১৬ সালের মধ্যেই ইলেকট্রিক ট্রেন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাবের(ডিপিপি) ওপর পিইসি সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য(সচিব) এসএম গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ইলেকট্রিক ট্রেন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য ৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা পিইসি সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার মন্ত্রীর (পরিকল্পনামন্ত্রী) অনুমতি নিয়ে ২০১৬ সালের মধেই সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। এর পরেই মূল প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্যক্রম চালানো হবে। প্রথমে ন্যাশনাল পাওয়ার গার্ডলাইন, গার্ড স্টেশনের নিকটবর্তী স্থানে ইলেকট্রিক্যাল সাব-স্টেশনগুলো স্থাপনের উপযুক্ত এলাকা নির্বাচন করা হবে।

তবে ট্র্যাকশন রিকোয়্যারমেন্টের জন্য ইলেকট্রিক পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ইতিবাচক মতামত পাওয়া গেছে।

ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের জন্য আধুনিক পদ্ধতিও অনুসন্ধান করা হবে।

এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে ৭ জন আন্তর্জাতিক ও ৯ জন দেশি পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি সার্ভে অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন করা হবে। প্রয়োজনীয় অফিস ইক্যুইপমেন্ট কেনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

** আসছে ২শ’ কিমি গতির ইলেকট্রিক ট্রেন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।