ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বন্ডের ‘মিস ইউজ’ চান না ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
বন্ডের ‘মিস ইউজ’ চান না ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: ব্যবসায়ীরা বন্ডের মিস ইউজ আর চান না বলে জানিয়েছেন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

 

 
বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলনে কক্ষে আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।


 
তিনি বলেন, ‘বন্ড মিস ইউজের ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা সতর্ক। তারা আর চাচ্ছেন না বন্ডের মিস ইউজের পণ্য বাজারে আসুক। মিস ইউজে ব্যবসায়ীরা লজ্জা পাচ্ছেন। ’
 
এনবিআরকে ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বন্ড থাকুক তাতে নজরদারি বাড়ান। শাস্তি দিন।
 
বন্ড মিস ইউজ শুধু প্লাস্টিকে নয়, কাগজ-রডসহ বিভিন্ন খাতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা বন্ডে আমদানি সুবিধা পাচ্ছে এফবিসিসিআই’কে তাদের তালিকা দিন, আমরা এ তালিকার ওপর কাজ করবো।
 
‘বন্ডে বছরে ৫৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়’-এনবিআর চেয়ারম্যানের এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। ব্যবসায়ীরা যে মাথা উঁচু করে বীরের মতো ব্যবসা করবে সেখান থেকে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। সত্যিকারের ব্যবসায়ী হিসেবে তারা গড়ে উঠতে পারছে না।
 
থাইল্যান্ড, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। ভারতে ক্ষুদ্র ব্যবসা খুবই শক্তিশালী। বড় শিল্প ও ব্যবসায়ীদের দিকে তাকান তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু ছোট ও মাঝারি শিল্প ও ব্যবসায়ীদের দিকে নজর দিতে এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
 
আবদুল মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, বন্ডের মিস ইউজ থেকে বেরিয়ে এসে প্রয়োজনে তারা যে পণ্য ব্যবহার করে সে পণ্য আমদানিতে শুল্ক এমনভাবে করতে হবে যাতে বন্ডের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
 
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘বন্ডের অপব্যবহারকারীরা জাতীয় শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’
 
এর আগে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্ডের মাধ্যমে দেশীয় শিল্প কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়।
 
সভায় সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে গতি এসেছে। এ গতি ধরে রাখতে ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সরকার প্রতিজ্ঞাবন্ধ।
 
সভায় নির্মাণ, ক্ষুদ্র, মাঝা‌রি ও বৃহৎ শিল্প খাতের ১০৬টি সংগঠনের প্রতিনিধি, এনবিআর সদস্যরা অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
আরইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।