ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নাটোরে বোরো ধানে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৬
নাটোরে বোরো ধানে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নাটোর: ঝড়ের কারণে নাটোরের হালতিবিলের উঠতি পাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টিতে হালতিবিলের উঠতি পাকা বোরো ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আহমেদ, নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার আমিরুল ইসলামসহ স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হালতিবিলের অধিকাংশ জমির প্রায় ৮০ ভাগ ধান পেকে গেছে। এসব পাকা ধান ঝড়ের কবলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। পাকা ধানগুলোর শীষ ঝরে পড়েছে মাটিতে। আধা-পাকা ধানগুলো নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। কেউ কেউ আধা-পাকা এসব ধান মাটিতে ঝরে পড়ার আগেই কেটে নিচ্ছে।

হালতিবিলের খোলাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের কারণে বিলের অধিকাংশ জমির পাকা ধান মাটিতে পড়ে গেছে। এ অবস্থায় বিঘা প্রতি অন্তত ৩ থেকে ৪ মণ ফলন কম হবে। যদি দু’একদিনের মধ্যে আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষকের ক্ষতি কিছুটা হলেও কম হবে।

নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জিরাসাইল ও মিনিকেট জাতের ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ব্রি-২৮,২৯ সহ অন্যান্য জাতের ধানের অবস্থা ঠিকই আছে।

তিনি আরো জানান, এ উপজেলায় ৮ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। ঝড়ের কবলে ১০ থেকে ১২ ভাগ জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিঘাপ্রতি ২ থেকে আড়াই মণ ধান ফলন কম হবে। তাতে কৃষকদের শঙ্কার কিছু নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬
এটিআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।