ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আনুপাতিক হারে সিএনজির দাম কমানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৬
আনুপাতিক হারে সিএনজির দাম কমানোর দাবি ছবি: শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তরল জ্বালানির মূল্য কমানোর পাশাপাশি আনুপাতিক হারে সিএনজি’র (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) মূল্য কমানোর দাবি জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। অন্যথায় সিএনজি খাত হুমকির মুখে পড়বে বলে জানান তারা।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সিএনজি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এছাড়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর, ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোরক্ত ভক্ত, নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক একেএম আলমগীর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০০ সালে ঢাকা শহরকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার থেকে মুক্ত করার জন্য সিএনজি খাতকে বেসরকারিকরণে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই থেকে এই শিল্পের যাত্রা। ২০০০ সালে বেসরকারিকরণ ও সরকারের প্রত্যক্ষ উৎসাহে সারাদেশে ৩৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৫৯০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং ২৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩ লক্ষাধিক যানবাহনকে সিএনজিতে রূপান্তর করা হয়। যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তরের ফলে বায়দূষণের মাত্রা অনেক কমে যায়। বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা উল্লেখ করে মাসুদ খান বলেন, সিএনজি ব্যবহারের ফলে বায়দূষণ সহনীয় মাত্রার থাকায় বাৎসরিক আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে ৩২০০ কোটি টাকা।

এমতাবস্থায় দফায় দফায় সিএনজি মূল্যবৃদ্ধির ফলে সিএনজিতে রূপান্তরিত গাড়িগুলো পুনরায় তরল জ্বালানিতে ফেরত যাওয়ায় বাতাসে বিষাক্ত পিএম-১০ এবং পিএম-২.৫ এর মাত্রা যথাক্রমে (২০১১ সালে তথ্য) ৩০৯ এবং ২৮১ মাইক্রোগ্রামে এসে দাঁড়িয়েছে, যা ২০০৫ সালে সিএনজি ব্যবহার ব্যাপক থাকা অবস্থায় মাত্রা ছিল ৪৬ এবং ১৯ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই মাত্রা ৫০ এর নীচে থাকা বাঞ্ছনীয়। পুনরায় তরল জ্বালানির মূল্য কমানোর পাশাপাশি সিএনজি’র মূল্য বৃদ্ধি করা হলে গণপরিবহনে সিএনজি’র ব্যবহার নিরুৎসাহিত হবে, যার ফলে বায়দূষণ বেড়ে বিষাক্ত গ্যাসের চেম্বারে পরিণত হবে ঢাকাসহ সারাদেশ। এতে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যখাত মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

একই সঙ্গে তরল জ্বালানির মূল্য কমানোর সাথে সাথে সিএনজি’র মূল্য কমানো না হলে গণপরিবহনে বাজার বৈষম্য সৃষ্টি হবে। তরল জ্বালানির মূল্য কমানোর সাথে সাথে সিএনজি’র মূল্য কমানো না হলে লাভজনক এই খাত মুখ থুবড়ে পরবে। সঙ্কটে পড়বে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ, পথে বসবে সরকারের প্রত্যক্ষ উৎসাহে বিনিয়োগ করা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকবৃন্দ।

একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তারা বলেন, দেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবহার হয় সিএনজি খাতে। অথচ এই খাত থেকে সরকার ২২ শতাংশ রাজস্ব পাচ্ছে। তাই এই সম্ভাবনাময় খাত টিকিয়ে রাখতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর পাশাপাশি সিএনজির মূল্যও আনুপাতিক হারে কমানো হোক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৬
এসএম /আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।