ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে প্রেরণা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে প্রেরণা ছবি: জি এম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাসীর কাছে কেবল বিস্ময়ই নয়, প্রেরণাও। এদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, ব্যবসাবান্ধব সরকারি নীতি, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা, তৈরি পোশাক, নির্মাণখাত, পোশাক কারখানা, উদ্যমী তারুণ্য, সস্তা শ্রম, ব্যবসায় তারুণ্যের অংশগ্রহণ সব মিলিয়ে বাংলাদেশ আগামী বিশ্বের কাছে অন্যতম গন্তব্য।

বিশেষ করে যারা নতুন করে কিছু করার কথা ভাবছেন।

এ মন্তব্য হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও সিইও সঞ্জীব মেহতার।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে কর্পোরেট খাতে সুদক্ষ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত ‘এআইইউবি লিডারশিপ সামিট-২০১৬’ এ ‘লিডারশিপ ইন নিউ এইজ’ শীর্ষক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সঞ্জীব মেহতা বলেন, ঘাটতি যদি কিছু থেকে থাকে তা কেবল করপোরেট পর্যায়ের নেতৃত্বের দুর্বলতা। কেবল সরকারের দেওয়া সুযোগ থাকলেই হয়না, যোগ্য করপোরেট নেতৃত্বই কেবল পারে একটি জাতিকে ব্যবসায় এগিয়ে নিতে। দেশীয় পণ্যকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে তৈরি করতে পারে যোগ্য ব্র্যান্ড।
তিনি বলেন, করপোরেট একটি বিচক্ষণ বিবেচ্য বিষয়। আমরা জানি নোকিয়ার মতো একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ড আজ হারিয়ে গেছে নেতৃত্বের বিচক্ষণতার কারণে। পৃথিবী যখন অ্যানড্রয়েড ও স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকছিল, তখন নোকিয়ার মতো সর্বাধিক বিক্রিত হ্যান্ডসেট কোম্পানি তা বুঝতে পারেনি। তারা আধুনিক গ্রাহকের কথা বিবেচনায় নেয়নি। ফলে কোম্পানিটি হারিয়ে গেছে।
 
‘সম্ভাবনার বাস্তবায়ন’ শ্লোগানে আয়োজিত সামিটে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ করপোরেট নেতা যোগ দেন। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত এ সামিট এর আগে আরো তিনবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এবারের সামিটে দক্ষ ও কার্যকর নেতৃত্ব তৈরির বিষয়ে কর্পোরেট খাতকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়, যাতে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হয়। এতে বলা হয়, কেবল দক্ষ নেতৃত্বই দেশের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সূচনা করতে পারে। এবারের সম্মেলনে প্রায় ৫ শতাধিক ব্যবসায়িক নেতা অংশ নিচ্ছেন।
 
সম্মেলনে বিশ্বের ব্যবসায় ও বিপণন খাতের খ্যাতিমান ৫ করপোরেট নেতা তাদের বিশাল অভিজ্ঞতা, দুর্দান্ত সব চিন্তা-ভাবনা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ৫টি অধিবেশনের এবারের সামিটে তারা ৫টি প্রবন্ধও উপস্থাপন করেন। ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট জার্নাল ‘মাইন্ড ইওর মার্কেটিং’ বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন তারা। গ্রামীণফোনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের জন্যও একটি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন হয় এবারের সামিটে।
সামিটে আরো বক্তব্য রাখেন গ্লাক্সো স্মিথক্লাইনের প্রফেসর অব করপোরেট ইনোভেশন, আইএনএসআইএডি’র অধ্যাপক অমিতাভ চট্টোপাধ্যয়, সেন্টার ফর ট্যালেন্ট ইনোভেশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হিউলেট কনসালটিং পার্টনার্স, নিউইয়র্কের ম্যানেজিং পার্টনার রিপা রশিদ, ইসলামিক ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন কাউন্সিলের (আইএফডিসি) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আলিয়া খান ও বিভি নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্ত্বাধিকারী টম কামিংস।
 
সামিটে ‘সম্ভাবনার বাস্তবায়ন-বাংলাদেশের প্রেক্ষিত’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার সঞ্চালনা করেন রহিম আফেরোজের গ্রুপ ডিরেক্টর মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন। এ পর্বে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার এ আনোয়ার, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হোসেন খালেদ, বিসিবির সভাপতি ও বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপনের মতো দেশের করপোরেট খাতের শীর্ষস্থানীয় ও তুখোড় নির্বাহীরা অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
আরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।