ঢাকা: আবাসন খাতে চলমান মন্দা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রড শিল্পের ওপর নতুনভাবে অতিরিক্ত কর আরোপের জন্য টনপ্রতি সাত থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা দাম বাড়বে। বর্তমানে প্রতি টন রড মানভেদে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে রডের ওপর ১ শতাংশ হারে ট্যারিফ দিতে হয়। নতুন বাজেটে ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে টনপ্রতি দাম আরও একধাপ বাড়বে রডের দাম।
দেশে রড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টি। প্রতি বছর এসব মিল বা প্রতিষ্ঠান ৮০ লাখ থেকে এক কোটি টন রড তৈরি করতে সক্ষম। অথচ আবাসনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত শিল্পে এখন রডের উৎপাদন ক্ষমতা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, অনেক মিল নতুন আঙ্গিকে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছে। কিন্তু দেশে মন্দাভাবের কারণে পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। আবাসন খাতে ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, তা দেওয়া হচ্ছে না। এতে করে রড উৎপাদনে প্রতিনিয়তই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আবাসন সমস্যার কারণে রড উৎপাদন কমে গেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রড উৎপাদিত হচ্ছে না। আমরা ৪০টি মিলে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টন রড উৎপাদন করছি। এতো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আসন্ন বাজেটে ১ শতাংশের বদলে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে করে জুলাই থেকে প্রতি টন রডে সাত থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা বাড়বে। এতে করে সামনে ফ্ল্যাট তৈরিতে ব্যয়ও বাড়বে। সাধারণ মানুষকে অধিক টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে হবে’।
তাই রড শিল্প খাতে যেন কর না বৃদ্ধি করে সরকারের কাছে সে অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর