ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চরাঞ্চলে বাজেট বাস্তবায়ন কমিটি প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
চরাঞ্চলে বাজেট বাস্তবায়ন কমিটি প্রয়োজন ছবি: বাংলানিউজটোেয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: টানা দুই অর্থবছরে চরাঞ্চলের মানুষদের উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানিয়েছে উন্নয়ন সমন্বয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন কেন জরুরি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এমন কথা জানানো হয়।

সভায় চরাঞ্চলের বাজেট বিষয়ে তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের কো-অর্ডিনেটর জাহিদ রহমান। চরাঞ্চলের সম্ভাবনা ও বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার।

এ প্রসঙ্গ টেনে আলোচনা সভায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের কর্মসূচি প্রধান (চর ও হাওর) জাকির আহমেদ খান জানান, ১১টি জেলায় দেশের চরাঞ্চল রয়েছে। এ অঞ্চলে ৬০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছেন। এ অঞ্চলের মানুষ ৭৪ শতাংশ আয় খরচ করে খাদ্যের জন্য।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন বলেন, ১১টি জেলার মধ্যে যে সব চর রয়েছে, তার ৭০ শতাংশ চাষ উপযোগী।

তিনি বলেন, চরের জমি ও পাহাড়ি এলাকার জমি সুষ্ঠু ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবহার না করতে পারলে দেশের উৎপাদন কমে যাবে। এজন্য এসব এলাকায় বাজেট বরাদ্দ ও তা বাস্তবায়ন কমিটি গঠন খুবই জরুরি। দেশের জমি হারিয়ে যাচ্ছে না। বসত-ভিটা ও কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর একদিকে চরের জমি বেড়ে যাচ্ছে।

বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দিয়ে সভায় বক্তব্য দেন এক সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন।

তিনি বলেন, চরাঞ্চলের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে অনেক আগেই। বাজেটে তা সমাধানের জন্য বরাদ্দও রাখা হচ্ছে। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়ন কমিটি না থাকায় সমস্যা দূর হচ্ছে না।

‘উপকূলীয় চর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ নামে কমিটি হওয়া দরকার বলেও মনে করেন এই সংসদ সদস্য।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজেটে বরাদ্দ হওয়া ৫০ কোটি টাকা কেন খরচ হয়নি তার খোঁজ নেবো। আর এ অর্থ খরচ না হওয়া আমাদের জন্য লজ্জা।

চরাঞ্চল নিয়ে কাজ করা এনজিওগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এনজিওগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। তারা অনেক কাজ করে। কিন্তু উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে হবে না। একটা গ্রাম বা অঞ্চল নিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো কাজ করতে হবে।

ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন ও উন্নয়ন সমন্বয়ের কো-অর্ডিনেটর শাহীন উল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
এফবি/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।