ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানি মূল্যে জ্বালানি চাইলেন ব্যবসায়ীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
আমদানি মূল্যে জ্বালানি চাইলেন ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: আমদানি মূল্যে ডিজেল সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ব্যবাসায়ীরা। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়ানো, ভ্যাট আইনের সংশোধন, কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোসহ ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিনিয়োগের পরিবেশ সহজ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সব ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ‘বাণিজ্য সহায়ক’ ৫ম সভায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নেতারা এ দাবি জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জানান, আসন্ন বাজেট এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মে মাসের ১২ তারিখে এটা চূড়ান্ত হতে পারে বলেও তিনি জানান।

অর্থমন্ত্রী ভ্যাট নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ সম্পর্কে বলেন, এটা নিয়ে আপনাদের যথষ্টে চিন্তা রয়েছে। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভ্যাট আদায়ের পর যথাযথ অ্যাকাউন্টিং করে তা রাজস্বে জমা দেওয়ার ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

মুহিত বলেন, দেশের প্রয়োজনে কর আরোপ হয়, এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হতে পারেন না। তাদের পরামর্শ মেনেই কর ধার্য করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান অর্থবছর সব দিকে থেকে ভালো ছিল। রাজনৈতিক পরিবেশ, আবহাওয়া ও কৃষি ভালো থাকার পরও এবার এনবিআর তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি।

দেশের চলমান জ্বালানি সংকট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। তখন আমদানি গ্যাসের সাথে দেশীয় গাসের মূল্য সমন্বয় করলে গ্যাসের দাম সহনীয় হবে।

বৈঠকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিমউদ্দীন চৌধুরী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের রান্না করার গ্যাস ও গাড়ির গ্যাস ব্যবহারে মানুষকে অনুৎসাহিত করতে চান। এ কারণে সরকার এই দুই খাতে গ্যাসের দাম বাড়ালেও সার, বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সহসাই গ্যাস সংকট সহনীয় পর্যায়ে আসবে। কর্পোরেট ট্যাক্সও সহনীয় করা হবে। গার্মেন্ট সেক্টরের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানোর জন্য জাহাজ নির্মাণ, ওষুধ, আসবাবপত্র, প্লাস্টিক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এসব শিল্পে এরই মধ্যে আমরা ভালো করছি।

অর্থমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহাবুব আহমেদ বৈঠককে জানান, সীমিত আকারে হলেও সরকার রপ্তানি কারকদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে। দেশের অর্থনীতি পারমিট করলে আরো বৃহদাকারে এ সুযোগ দেওয়ার কথা ভাববে মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া এবং দাম দ্বিগুণ হওয়া সত্ত্বেও আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে- এমন খবরে আমরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করতে গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের নিশ্চয়তার ব্যাপারে সরকারের কাছে একটি টাইম বাউন্ড রূপরেখাও দেওয়ার প্রস্তাব করেন তার। সদ্য পাস হওয়া ভ্যাট আইন কার্যকরের বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

ভ্যাট ফাঁকির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদেরও এই ফাঁকির দায় বহন করতে হবে-এমন আপত্তিকর ধারা নতুন ভ্যাট আইনে সংযোজন হওয়ায়ও বিস্ময় প্রকাশ করেন তারা।

এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত নানা সীমাবদ্ধতার কথাও টেনে আনেন। এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পরামর্শক কমিটির সভায় প্রথমবারের মতো উপস্থিত হন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্দ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, ইউসুফআব্দুল্লাহ হারুন, মীর নাসির হোসেইন, একে আজাদ, আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান প্রমুখ।

সভায় ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ বক্তার বক্তব্যেই গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট হ্রাস ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের বিষয়ে টাইম বাউন্ড রূপরেখার কথা বললে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী মুহিতও তাৎক্ষণিকভাবে জ্বালানি সচিবের কাছে ব্যবসায়ীদের এই প্রশ্নের উত্তর চান।

তিনি বলেন, আপনি ব্যবসায়ীদের নিশ্চয়তা দিন কবে নাগাদ শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহ দিতে পারবেন।
 
জবাবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী সরাসরি সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। অনেকটা সংশয় রেখেই বলেন, আশা করছি-২০১৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ মিলবে গ্যাসের।

এর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে তিনি গ্যাসখাতের উন্নয়নে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে এ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাসা-বাড়িতে আর নতুন করে গ্যাসের সরবরাহ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরবরাহ বন্ধ করা হবে গ্যাস নির্ভর গাড়ির জ্বালানিও। সরকারের এ ব্যাপারে সমীক্ষা কথা উল্লেখ করে জ্বালানি সচিব জানান, এ দু’টি খাতে দেশে উৎপাদিত মোট গ্যাসের ২০ শতাংশ ব্যয় হয়। অথচ এ দুই খাত থেকে সরকারের আয় হয় মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা। এই গ্যাসই যদি পাওয়ার প্ল্যান্টে কিংবা শিল্প-কারখানায় সরবরাহ দেয়া যেতে তাহলে সরকারের এর থেকে বছরে আয় হতো ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকার এখন সে পথেই এগোচ্ছে। বাসাবাড়ি ও গাড়ির জ্বালানিখাতে যে গ্যাস সরবরাহ করে সেটি বন্ধ করে শিল্প-কারখানাতেই দেওয়া হবে। কারণ সরকার এখন বাসাবাড়ি ও যানবাহনের জন্য এলএনজি গ্যাসের ওপর জোর দিচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সম্পন্ন এলএনজি ল্যান্ডপোর্ট নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও তিনটি এলজি পোর্ট নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এর জন্য ন্যূনতম সময়সীমা ধরে আগামী ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এছাড়াও ১০২টি নতুন গ্যাস কূপ খননের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরে নিজস্ব উদ্যোগে ৩৬টি গ্যাস কূপ খনন হবে। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের তেমন ইচ্ছে নেই উল্লেখ করে বলেন, এটি নির্ভর করে গণ শুনানির ওপর।

এফবিসিসিআইএর সাবেক সভাপতি ও বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির ব্যবসায়ী পক্ষের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে সরকারের অনেক ইতিবাচক উদ্যোগ আছে। এরপরও ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় দুইটি সমস্যা গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ও ভ্যাট আতংক। দিনের পর দিন গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবি করে আসলেও ব্যবসায়ীরা এখনও সরকারের কোনো মহল থেকে নিশ্চিয়তা পাননি। কবে নাগাদ এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে তার টাইম বাউন্ড রূপরেখাও জানানো হচ্ছে না। এর ফলে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে।

অপর আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, শুনেছি ভ্যাট ফাঁকির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনকেও ধরা হবে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এর দায় শেয়ারহোল্ডারদেরও ওপরও গড়াবে।

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটি কোন ধরনের আইন। অবিলম্বে তিনি গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট সমাধানে সরকারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে ভ্যাট বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আপত্তির বিষয়গুলোও সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ব্যবসায়ীদের অনেক দাবি থাকে। সব দাবি পূরণ হবে না সেটি আমরা জানি। কিন্তু কিছু বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ তো সরকার নিতেই পারে, যা করলে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে, তেমনি বিনিয়োগ কর্মসংস্থানেরও সুযোগ ঘটবে। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রস্তাব অনেক থাকলেও অনেক কার্যকর বিষয়ে বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি এর প্রতিফলন দাবি করেন। একই সঙ্গে ভ্যাট আইন কার্যকরের আগে পুণরায় সংশোধন করার প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ সভায় ভ্যাট আইনে ব্যবসায়িদের যে সাতটি বিষয়ে আপত্তি ছিল, সেগুলো গণ্য করা হয়নি। তিনি ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো বিচেনায় নেওয়ার আহ্বান রাখেন।

অপর সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৃতীয় কোনো দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়ার প্রস্তাব করেন। বলেন, পোশাক রফতানির জন্য বিদেশি অনেক বায়াররাই এখন বলছে, যাদের তৃতীয় দেশে বিনিয়োগ নেই তারা ওই কারখানা থেকে পোশাক নেবেন না।

তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়লেও এর গুণগত কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এ কারণে দেশে দক্ষ জনশক্তি সেভাবে গড়ে উঠছে না। ফলে দেশের উদ্যোক্তাদের বাধ্য হয়ে মিড লেবেল ম্যানেজমেন্টের জন্য বিদেশি লোক নিয়োগ করতে হয়। এতে করে প্রতিবছর দেশ থেকে ৪ বিরিযন ডলারের মূল্যবান অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে।

তিনি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি শিল্প-কারখানার জন্য আমদানি রেটে জ্বালানি সরবরাহেরও প্রস্তাব করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রফতানিখাতকে সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখলেও কেনো এ খাতে ৩৫ শতাংশ কর্পোরেট কর নির্ধারণ করলো, জানিনা।

তিনি বলেন, সরকার প্রবৃদ্ধির কথা বলছে,-এ প্রবৃদ্ধি কোথা থেকে আসবে। কৃষিখাতে অবদান ক্রমশ কমছে। এখন ভরসা শিল্প ও সেবাখাতে। কিন্তু প্রবৃদ্ধির অর্জন করতে হলে তো বিনিয়োগ করতে হবে। রানা প্লাজা ধসের পর দেশে কর্মসংস্থানের হার কমে গেছে। বিনিয়োগ পরিস্থিতিও ততটা আশাব্যাঞ্জক নয়।    

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
আরএম/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।