ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে ফের সংশয় বিশ্বব্যাংকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬
জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে ফের সংশয় বিশ্বব্যাংকের

ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হবে বললেও তা নিয়ে নিয়ে আবারও সংশয় প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় নগরীর শেরেবাংলা নগরে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনে বিষয়টি উঠে আসে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ কমেছে, কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে, সার্বিক আমদানি শিল্পে মূলধনের যোগান ও রেমিন্টেসের প্রবৃদ্ধি ভালো না। রফতানি ছাড়া অন্য কোনো সূচকেই প্রবৃদ্ধি ভালো হয়নি। ফলে ৭.০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে ফিগার দেওয়া হয়েছে, তা অর্জন হবে কি-না সংশয় রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকে রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন ডলার খুবই ভালো। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বছর শেষে প্রবৃদ্ধি কতো হবে, সে ফিগার আমরা দিচ্ছি না। কিন্তু কেন ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ হবে না, সে বিষয়ে তথ্য দিচ্ছি। সব কথা মুখে বলার প্রয়োজন হয় না, বুঝে নিতে হয়। কিছু বিষয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে। যেমন কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে, এটাও যেমন বিতর্কের ঊর্ধ্বে, একইভাবে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি, এটাও কম অর্জন না। প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে, এ নিয়ে আমরা বিতর্ক করতে চাই না। কিন্তু ৭ দশমিক ০৫ সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এটা এলো কোথা থেকে?

‘ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কমেছে, রেমিটেন্স কমেছে, উন্নয়ন ব্যয় নিয়ে সমস্যা, বাজেট ঘাটতি উদ্বেগজনক, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ধীরগতি, শিল্পে সময় মতো গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় না। তাহলে ৭ দশমিক ০৫ প্রবৃদ্ধি কিভাবে হলো?’- প্রশ্ন করেন তিনি।

জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এবার সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বেড়েছে। প্রতি বছর সবার বেতন বাড়বে না। তাই জনপ্রশাসন খাতে যে সূচক বেড়েছে সামনে কমে যাবে’।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে যেতে হলে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। জ্বালানি ও যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। এ দুই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের নীতি ঠিক করতে হবে। কিভাবে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়, সে বিষয়টি অনেকের অজানা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত থেকে অস্থিরতা দূর করতে হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রফতানি বৃদ্ধিসহ রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানো আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

বর্তমানে বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশ। ক্রমেই এটি বেড়ে চলেছে। ঋণ বাড়ছে না, কিন্তু সুদের বোঝা বেড়েই চলেছে। এতে করে রাজস্ব বাজেট চাপে পড়বে।

এ সময় সংস্থাটির  কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন ই মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬/ আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা.
এমআইএস/জিসিপি/এটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।