ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মূসক চালানবিহীন ৩১ ট্রাক জব্দ, হয়রানি নয় সতর্ক

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬
মূসক চালানবিহীন ৩১ ট্রাক জব্দ, হয়রানি নয় সতর্ক

ঢাকা: দেশে মূসক (ভ্যাট) চালানবিহীন ও অবৈধভাবে পণ্য পরিবহনের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে বছরে শত শত কোটি টাকার মূসক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

মূসক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এর অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহে মূসক চালানবিহীন ৩১টি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
 
মূসক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মূসক গোয়েন্দার দিবা ও নৈশ টহল দল পণ্য বোঝাই ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যান জব্দ করেছেন।
 
শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা থেকে এসব জব্দ করা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ মূসক ও শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
 
এসব ট্রাকে মূসক চালানবিহীন, বৈধ কাগজপত্রহীন ও বন্ডের আওতায় অবৈধভাবে পণ্য এনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে।
 
জব্দকৃত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ঢাকা কাস্টমস হাউস ও এনবিআর  প্রাঙ্গনে রাখা হয়েছে। ট্রাকের পণ্যের দাবিদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 
সূত্র জানায়, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ও শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ইন্টারলাইলিং, ফ্ল্যাটরোল, প্লেনশিট, বেবি খেলনা, স্যুইং মেশিন, সুতা, জিপার ও চানাচুরবাহী ৯টি ট্রাক জব্দ করা হয়।
 
এসব চালান জব্দ করার সময় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভারের কাছে ভাড়ার রশিদ ছাড়া মূসক চালান ও বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
 
অথচ আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক চালান, শুল্ক ও মূসক পরিশোধের  প্রমাণ, বন্ড সুবিধা অনুমোদনের কাগজপত্র ভাড়ার রশিদের সঙ্গে থাকার কথা।
 
সূত্র আরো জানায়, ভ্যাট ও করযোগ্য পণ্য পরিবহনে দেশে প্রচলিত আইন মানার ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
 
এনবিআরের নির্দেশে তারা এ অভিযান পরিচালনা করছেন বলে জানান মূসক গোয়েন্দা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী।
 
তিনি বলেন, মূসক গোয়েন্দা যেকোনো পর্যায়ে অহেতুক হয়রানির ঘোরতর বিরোধী। বাজেটকে সামনে রেখে রাজস্ব ফাঁকি রোধে আমরা এ অভিযান করছি।
 
তিনি বলেন, মূসক আইন ১৯৯১ এর ৩২ ধারা ১৬ বিধি অনুযায়ী মূসকযোগ্য পণ্যসহ কোনো ট্রাক ফ্যাক্টরি থেকে বের হলে তার সঙ্গে মূসক চালান রাখতে হবে।
 
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, শুধু মূসক গোয়েন্দাই নয়, রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে এনবিআরের সব বিভাগ জোরালোভাবে কাজ করছে।
 
তিনি বলেন, মূসক গোয়েন্দার অভিযান অসৎ ব্যবসায়ীদের সর্তক ও সচেতনতার বার্তা। সৎ ব্যবসায়ীরা অভিযানে ভীত নন, ভীত অসৎ ব্যবসায়ীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।