ঢাকা: নামের যেমন ঐতিহ্য, তেমনি খাবারেও। ভ্যাট আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভোক্তার কাছ থেকে শতভাগ ভ্যাট আদায় করেন।
রাখেন অনুমোদনহীন পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন। শতভাগ পিএসও চালানে ভ্যাট নেন। কিন্তু সে ভ্যাট ফাঁকি দিতে মেশিনের তথ্য মুছে ফেলেন কৌশলে।
প্রতি মাসে বিক্রি প্রায় ২৫ লাখ টাকা হলেও দেখান ৫ লাখের কিছু বেশি। নবাবি স্টাইলে ভ্যাট ফাঁকির এসব অভিযোগ বেইলি রোডের ‘নবাবী ভোজ’র বিরুদ্ধে।
অনলাইনে ভোক্তাদের ভ্যাট ফাঁকির এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে অভিযান পরিচালনা করে মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি সূত্র জানায়, রুচিশীল খাবারের জন্য ভোজনরসিকদের কাছে নবাবী ভোজ জনপ্রিয়। সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত সবই এখানে হয়। বিয়ে, জন্মদিন বা পার্টি যেকোনো অনুষ্ঠানে নবাবী ভোজই চাই।
রেস্তোঁরাটি সব ভোক্তার কাছ থেকে শতভাগ ভ্যাট নেয়। কিন্তু পিওএস মেশিন ব্যবহার করলেও তা অনুমোদনহীন। যাতে মেমোরি থেকে ডাটা মুছে ফেলা যায়। ভ্যাট ফাঁকি দিতে সুবিধা মতো মালিকপক্ষ সরিয়ে ফেলেন সব ডাটা।
প্রতি মাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা বিক্রি হলেও বিক্রি দেখান ৫ লাখ টাকার কিছু বেশি। এর মাধ্যমে শতভাগ ভ্যাট আদায় করলেও মাত্র ২০ শতাংশ ভ্যাট দেন তারা।
বাকি ৮০ শতাংশ পকেটস্থ করেন। সংরক্ষণ করেন না ক্যাশ রেজিস্টার। শতভাগ ভ্যাট আদায় করে তা পকেটস্থ করতে বিগত দিনের হিসেবের বইও সরিয়ে ফেলেন।
সূত্রটি আরও জানায়, অভিযান চলাকালে গত দু’তিন মাসের বিক্রির প্রাথমিক হিসাব পেলেও সঠিক হিসেব পাওয়া যায়নি। চতুর মালিক ভ্যাট ফাঁকি দিতে সহায়তা নেন অসৎ কর্মকর্তাদের।
নবাবী ভোজের নবাবি স্টাইলে ভ্যাট ফাঁকি সম্পর্কে মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক একেএম সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি মাসের বিক্রির সঙ্গে বিক্রি দেখানোর কোনো মিল নেই। কাগজপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিক্রির একাংশ ভ্যাট দেন মালিক।
তিনি বলেন, শতভাগ ভ্যাট আদায় করেন, আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু তা পকেটস্থ করা আইনের কঠোর বরখেলাপ। পিওএস মেশিনের মেমোরি মুছে ফেলেন।
আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করেছি, হিসেব করলে প্রকৃত ফাঁকির চিত্র পাওয়া যাবে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৬
আরইউ/এএসআর