ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গ্রামীণ ব্যাংকের কর অব্যাহতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
গ্রামীণ ব্যাংকের কর অব্যাহতি

ঢাকা: প্রতিবছর আয়কর বিবরণী দাখিলের শর্তে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর (৫ বছর) পর্যন্ত কর অব্যাহতি পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক।

সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংক কর অঞ্চল-১৪ এর সার্কেল-২৮৭, ০৭০-২০০-১৮৮৪ টিআইএন নম্বরে কর দেয়। চলতি অর্থবছর রিটার্ন জমা দিলেও কর দেয়নি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৪৪ ধারা, ৪ উপধারার (বি) অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে কর অব্যাহতি প্রদান করিল। ’

২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষা বিবরণীসহ আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে- এ শর্ত প্রযোজ্য হবে।

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে আয়কর, সুপার ট্যাক্স, ব্যবসায় মুনাফা করসহ শর্তহীনভাবে সব ধরনের কর অব্যাহতি পেয়ে আসছে।

প্রতি তিনবছর পরপর অব্যাহতি সুবিধা নবায়নে আবেদন করতে হয় গ্রামীণ ব্যাংকে। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক কর অব্যাহতি চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দেয়।

চিঠিতে তিনি কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন।

কিন্তু এনবিআর কোনো জবাব না দেওয়ায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করে।

পরে অর্থমন্ত্রীর সারসংক্ষেপ পাঠাতে এনবিআরকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশের পর ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর এনবিআরের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সিদ্ধান্তের সারসংক্ষেপ অর্থমন্ত্রীর কাছে পুনরায় পাঠানো হয়। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় হয়ে এনবিআর আসে। গত ৪ মে এনবিআর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
আরইউ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।