ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোবাইল শিল্প গড়তে জমি দেবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
মোবাইল শিল্প গড়তে জমি দেবে সরকার

ঢাকা: বিদেশ থেকে আমদানি না করে দেশে মোবাইল শিল্প গড়ে তুলতে জমি দেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার। বড় শিল্প খাত গড়তে ইকোনমিক জোনে জায়গা আর, ছোট শিল্প তৈরি করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জায়গা থেকে জমি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

সোমবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৬ উদযাপন এবং দেশীয় উদ্যোগে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশ্বাস দেন শিল্পমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ফোন আমদানি হচ্ছে। দেশের টাকা বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে। তাই আপনারা যদি দেশে এ শিল্প গড়ে তোলেন তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাতলুব আহমেদ, সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সভায় সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু মোবাইলশিল্প গড়ে তুলতে সরকারের কাছে হাইটেক পার্কের মতো অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি বিদেশ থেকে মোবাইল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার দাবি জানান।

মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএমবিএ সভাপতি বলনে,  দেশে বর্তমানে ১৩ কোটির বেশি মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার হচ্ছে। ফলে দেশে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো মোবাইল ফোন ও এক্সেসরিজের বাজার তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এ বিশাল বাজার এখন প্রায় পুরোটাই বিদেশিদের হাতে। অথচ দেশে ফোন তৈরি হলে বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ তৈরি মোবাইল ফোন আমদানিতে ভ্যাট, কাস্টমসসহ সব মিলিয়ে গড় শুল্ক দিতে হয় প্রায় ২৪ শতাংশ। অপরদিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে মোবাইল ফোন তৈরি করলে কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৩৭-৪০ শতাংশ। অর্থাৎ উৎপাদনের চেয়ে তৈরি মোবাইল ফোন আমদানি করা লাভজনক। একারণে উচ্চ শুল্কের ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোক্তারা মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। এ অবস্থায় দেশে মোবাইল শিল্প গড়ে তুলতে সরকারের পক্ষ থেকে ভৌত অবকাঠামোসহ নীতি সহায়তার প্রয়োজন।

আমির হোসনে আমু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার মোবাইল ফোন। এটি এখন ফ্যাশন নয়, প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিলসহ দেশ-বিদেশ থেকে টাকা লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বের ১০ম দেশ হিসেবে উঠে এসেছে।

মোবাইল শিল্প পার্ক স্থাপনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই দেশীয় শিল্পের বিকাশ হোক। এ ব্যাপারে সরকার আন্তরিক। কিন্তু আপনাদেরকে এর সক্ষমতা দেখাতে হবে। এতো বড় একটি বাজার বিদেশিদের হাতে থাকতে পারেনা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬/আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।