ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনৈতিক জোনে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৬
অর্থনৈতিক জোনে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান

ঢাকা: আগামী ১৫ বছরের মধ্যে সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে ১০০টি ‘অর্থনৈতিক জোন’ তৈরি করা। এর মধ্যে উদ্বোধন হয়েছে মাত্র ১০টির।

তবে দু’টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করতে জাপানের বড় বড় বিনিয়োগকারীরা অর্থায়ন করতে চায়।

সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)-এর সঙ্গে কাজ করছে জাপান। অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের জন্য এর মধ্যে ঢাকার দু’টি এলাকায় ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হয়েছে বলে জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে।

তিনি আরও বলেন, জাপানের বড় বড় বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ করতে চায়। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় স্থান খোঁজা হচ্ছে। অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকার দু’টি এলাকায় ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। যাতে করে উপযুক্ত স্থানে অর্থনৈতিক জোন করা যায়। আমাদের দেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা খুবই আগ্রহী এদেশে বিনিয়োগ করতে।

রোববার (২৩ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিনের সঙ্গে বিনিময় নোট চুক্তিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে এবং ঋণচুক্তিতে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) বাংলাদেশ প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতাদা স্বাক্ষর করেন।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির ৩০ জন কর্মকর্তাকে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স কোর্সে অধ্যয়ন করাবে। সে লক্ষ্যে ২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা অনুদান দেয় দেশটি। ‘দ্য প্রজেক্ট ফর হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট স্কলারশিপ’ প্রকল্পের আওতায় ঋণ চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়।
 
প্রকল্পটি ২০০১ সালে শুরু হয়েছে, চলবে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত। এ পর্যন্ত ২২৬ জন কর্মকর্তা প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বর্তমানে ৩৯ জন কর্মকর্তা জাপানে অধ্যয়নরত আছেন এবং ৩০ জন কর্মকর্তা সর্বশেষ ব্যাচে জাপানে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

ঋণচুক্তি অনুষ্ঠানে উঠে আসে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বিষয়টি। আগামী ১৫ বছরে দেশে একশ’ অর্থনৈতিক জোনে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। এসব জোন থেকে বছরে অতিরিক্ত রফতানি আয়ের লক্ষ্য ৪ হাজার কোটি ডলার। ১০০ অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে ৫৯টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে বেসরকারি খাতের ৪টি এবং বিদেশি ৫টি অর্থনৈতিক জোন আছে।

জাইকা’র প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতাদা বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, দক্ষতার উন্নয়ন ও নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে সবসময় থাকবে জাপান। অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৬
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।