ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রধানমন্ত্রী চান তামাকমুক্ত

কর না বাড়াতে ডিও লেটার প্রতিমন্ত্রীর!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৬
কর না বাড়াতে ডিও লেটার প্রতিমন্ত্রীর!

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছেন।


 
আগামী অর্থবছরের বাজেটে তামাকে কর বাড়াতে কাজ শুরু করেছে এনবিআর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও উল্টো পথে হাঁটছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
 
সম্প্রতি (১৮ মে) বিড়ির ওপর কর না বাড়াতে অর্থমন্ত্রীকে ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) দিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
 
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত একটি ডিও লেটারের কপিও বাংলানিউজের কাছে রয়েছে।
 
আগামী বাজেটে বিড়ির ওপর কর না বাড়াতে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল হাই এমপিও গত ১৪ মে অর্থমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার দিয়েছেন।
 
ডিও লেটারে আরো উল্লেখ করা হয়, বিড়ি শ্রমঘণ শিল্প। বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি আগামী বাজেটে কর না বাড়ানোসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।
 
চলতি অর্থবছর বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি করে ১৪.৯৯ শতাংশ করা হয়। যেখানে সিগারেটের সর্বনিম্ন স্লাবে শুল্ক ১১.৬২ শতাংশ। সিগারেটে অগ্রিম আয়কর দিতে হয় না।
 
বিড়িতে ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। ডিও লেটারে শিল্প ও শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষার্থে সিগারেটের ৪র্থ স্লাব বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
 
একই সঙ্গে বিড়ি শিল্পের ওপর ধার্যকৃত অগ্রিম আয়কর বাতিলসহ আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অর্থমন্ত্রীকে জোর সুপারিশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
 
গত ৩১ জানুয়ারি ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা তামাকের ওপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্কনীতি গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবো’। আগামী ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
এরপরই তামাকের বর্তমান শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন করে সহজ একটি কাঠামো তৈরি করতে অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
 
প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বিড়ির ওপর কর আরোপ না করে ডিও লেটার দেওয়ায় অর্থমন্ত্রী নিজেই হতাশ হয়েছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।
 
বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা ও ক্ষতিকর পণ্যের (বিড়ি) ওপর কার্যকরভাবে কর বাড়িয়ে দাম বৃদ্ধি করা না গেলে প্রধানমন্ত্রীর ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে বলে মনে করে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।