ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোজার আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
রোজার আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন

ঢাকা: রোজার আগেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজারদর। মাসখানেক আগে যে দাম ছিলো, তা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।

‍মসুর ডাল, ছোলা, খেঁসারি ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, লবণ, মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

এ ১১টি নিত্যপণ্যের দামের খোঁজ নিতে গিয়ে গত মাসের সঙ্গে এ মাসের দামের বেশ পার্থক্যও পাওয়া গেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যের উৎপাদন, মজুদ ও আমদানি সন্তোষজনক বললেও কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) দেখছে, রোজার এক দুই মাস আগেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
 
বাজার ঘুরে ও ক্যাবের পণ্যের দামের তুলনামূলক সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, গত মার্চে দেশি রসুন মিলেছে কেজি প্রতি ৯০ টাকা দামে। এখন তা ৫০ টাকা বেড়ে ১শ’ ৪০ টাকা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এ দাম ছিলো ৯০ টাকা।

গরুর মাংস গত মাসে ছিলো কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা, এখন তা ৪শ’ ২৬ টাকা। গত বছর এ সময়ে দাম ছিলো ৩শ’ ৮৪ টাকা। খাসির মাংস গত মাসে ৬০০ টাকায় কেজি বিক্রি হয়েছে, এখন তা ৬শ’ ২৩ টাকা। কিন্তু গত বছর এ দাম ছিলো ৫শ’ ৮৪ টাকা। ফার্ম-ব্রয়লার মুরগির দাম গত মাসে ছিলো ১শ’ ৫১ টাকা, এখন ২০ টাকা বেড়ে ১শ’ ৭১ টাকা হয়েছে। গত বছর এ দাম ছিলো ১শ’ ৬১ টাকা।
 
খেঁসারি ডাল গত মাসে ছিলো ৬৫ টাকা, এখন তা ১৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। গত বছর একই সময়ে এ দাম ছিলো ৬০ টাকা।
 
প্যাকেটজাত লবণের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

পেঁয়াজের দাম এক মাসের ব্যবধানে ২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা। চিনি ৬ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকায়। ছোলা ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মসুর ডালের দাম গত মার্চে ছিলো প্রতি কেজি ১শ’ ৩৮ টাকা, সেখানে ৭ টাকা বেড়ে এখন ১শ’ ৪৫ টাকা হয়েছে।
 
রোজা আসার আগেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধমুখী প্রবণতা ঠেকাতে, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও নিরাপদ খাদ্য পেতে বিএসটিআই ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বাংলানিউজকে বলেন, একই সঙ্গে এবার বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোজা শুরুর কয়েকদিন আগেই টিসিবি’র কার্যক্রম শুরু করা দরকার। এতে সামান্য হলেও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আর সব পণ্যে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের চিন্তা ভাবনা করছে সরকার, তারও সমালোচনা করেছে ক্যাব। এতে পণ্যের দাম আরও বেড়ে লাগামহীন পর্যায়ে চলে যেতে পারে এবং ভোক্তার ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে শুরু করবে বলে আশঙ্কা সংগঠনটির।  
 
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান আরও বলেন, পাইকারি বাজারে খুচরা বাজারের তুলনায় পণ্যের দাম ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ কম। এজন্য যারা বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট বাড়ির বাসিন্দা তারা সবাই মিলে চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে ভাগাভাগি করে নিলে ব্যয়ের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সাশ্রয় সম্ভব।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
এসএ/জিসিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।