ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এমডিএফ ফার্নিচারে আধুনিকতার ছোঁয়া

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
এমডিএফ ফার্নিচারে আধুনিকতার ছোঁয়া ছবি: শাকিল, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কাঠের আধুনিক বিকল্প হিসেবে আসবাবপত্র তৈরি ও অফিস ইন্টেরিয়র কাজে বাংলাদেশে এক সময় বিপুল পরিমাণ এমডিএফ বোর্ড আমদানি করতে হতো। বর্তমানে সে আমাদানি কমে দেশে উৎপাদিত পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে বলে জানিয়েছে দেশীয় এমডিএফ বোর্ড উৎপাদনকারী এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ।

এখন তারা প্রতিমাসে দুই লাখ পিস এমডিএফ বোর্ড উৎপাদন করছে। কাঠ প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা এমডিএফ বোর্ড যা রাজধানীর ফার্নিচার দোকান থেকে শুরু করে নামকরা ব্র্যান্ডের ফার্নিচার কোম্পানিগুলোর চাহিদা মেটাচ্ছে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় সেই এমআরএস ইন্ড্রাস্ট্রিজ এবার অংশ নিয়েছে ‘জেট প্রেজেন্টস দ্বিতীয় বাংলাদেশ উড-২০১৬’ শীর্ষক  আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে। তিন দিনব্যাপী মেলার শুক্রবার (২৭ মে) চলছে দ্বিতীয় দিনের প্রদর্শনী। শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে প্রদর্শনীটি।

শুধু এমডিএফ নয় দেশে এইচডিএফ বোর্ড তারাই প্রথম উৎপাদন শুরু করেছে। অনেক কোম্পানি এখন এমডিএফ উৎপাদনে এলেও এখন পর্যন্ত কোনো দেশীয় কোম্পানি এইচডিএফ বোর্ড উৎপাদন করেনি। এইচডিএফ বোর্ড অনেক ভারী ও দীর্ঘস্থায়ী কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই দামও একটু বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তাদের স্টলে দাঁড়িয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলছিলেন এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজের ঢাকা অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) হাসান আলী।
 
তিনি জানান, ২০০৭ সালে দেশে এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রথম এরএমডিএফ বোর্ড উৎপাদন শুরু করে। ঢাকার বাড্ডার প্রায় সব ফার্নিচার কারখানায় তারাই বোর্ড সরবারহ করে। নামকরা ফার্নিচার ব্র্যান্ড আখতার, হাতিল, নাভানা, নাদিয়া, ব্রদ‍ার্স ফার্নিচারও তাদের গ্রাহক।

এমডিএফ উৎপাদন শুরুর পর বাংলাদেশে ফার্নিচার জগতে বড় পরিবর্তন এসেছে এমন মন্তব্য করে হাসান আলী বলেন, আগে বোর্ড সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর পণ্য ছিলো। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যন্ড মালেশিয়া থেকে বোর্ডটি আমদানি করতে হতো। এখনও হয় তবে তার পরিমাণ খুবই কম।

স্টলে প্রদর্শনীর জন্য থাকা বিভিন্ন ধরনের বোর্ডে নকশা ও কারুকাজ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বোর্ড ফার্নিচার দরজা, কিচেন ক্যাবেনিট ডোর, জালি, খাট, আলমারি, কাঠের ফ্লোর, পার্টিশনে কাজে লাগে। ’

দামের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ৩২ স্কয়ার ফিট বোর্ডের আকৃতিভেদে দাম ১২শ’ থেকে ২২শ’ টাকা পর্যন্ত । এইচডিএফ বোর্ডের দাম তা থেকে আরও এক হাজার টাকা বেশি।


কুষ্টিয়ার বিসিকে তাদের কারখানা। অর্ডার পেলে আরও বেশি সরবরাহ দিতে তারা সক্ষম। কেউ তার নিজম্ব পছন্দসই ডিজাইন নিয়ে এলে সে ডিজাইনের ভিত্তিতেও বোর্ড প্রস্তুত করে দিতে পারেন তারা।

গুণগত মান এবং নতুনত্ব আনতে বরাবর তাদের প্রচেষ্টা থাকে উল্লেখ করে হাসান আলী বলেন, ‘কাঠের জালি ও নকশার মতো কাজ আমরাই প্রথম নিয়ে এসেছি। ’
 
এমডিএফ বোর্ডের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে তিনি জানান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চমান সম্পন্ন এ বোর্ড আকৃতি ও গঠনগতভাবে অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত। কাঠের মতোই স্ক্রু ও পেরেক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। মৌসুম সংকোচন প্রসারণ হয় না, ঘুণে ধরে না, পোকায়ও কাটে না।
 
এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উৎপাদিত আরও পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্লাউড, প্লেইন বোর্ড, মেলামাইন লেমিনেটেড বোর্ড, ভিনিয়ার্ড বোর্ড, ভিনিয়ার্ড এমডি এফ বোর্ড, লেমিনেটেড এমডিএফ বোর্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
 এসএ/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।