ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী ফাইল ফটো

ঢাকা: প্রতিবছর রমজানকে সামনে রেখে সুযোগ বুঝে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

ইতোমধ্যে লাগাম ছাড়া বেড়েছে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলার দাম। মাংসও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।

ছোলা গত রমজানের তুলনায় এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বাড়তি দামে। চিনির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-১২ টাকা।

শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

মাংস ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেশি দাম হাঁকছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ছোলা (লাল) ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা, ছোলা (সাদা) ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ছোলার বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ চরমে। আফজাল নামে এক ক্রেতা জানান, এক সপ্তাহ আগে যে ছোলা ৯০ টাকায় কেনা যেত তা এখন ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। রোজা এখনও আসেইনি।

এছাড়া মসুর ডাল (দেশি) ১৪০-১৫০ টাকা, ভারতীয় ১০০ টাকা। মুগ ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে বেসনের দামও। ছোলার তৈরি বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

এদিকে কারওয়ান বাজারের তুলনায় অন্য স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজি বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এখানে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। আর খুচরা বাজারগুলোতে সেই দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ইউসুফ জানান, রমজান আসছে, ছোলার দামওতো বাড়বেই। মানুষের চাহিদা বাড়লে জিনিসের দাম বাড়ে। রোজার মাসে যে সব পণ্যের চাহিদা বেশি তার দাম একটু বাড়ে।

শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে করলা, ঢেঁড়স, মুলা, ঝিঙা, জালি, বরবটি, ধুন্দল, পটল, টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা। তবে কারওয়ান বাজারে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। কারওয়ান বাজার থেকে দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রির কারণ জানতে চাইলে মিরপুর কাজীপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা কাজল বলেন, কারওয়ান বাজারে তো পাইকারি দামে বিক্রি হয়। ওখান থেকে আনতে পরিবহন খরচ লাগে। এসব কারণে আমাদের এখানে বেশি দাম দিয়ে বিক্রি হয়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৩০ টাকা পিস, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর। প্রতিকেজি আলু ২০ টাকা।


অপরদিকে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১০০ টাকা। হালি ৩৪ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৪০ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে দেশি মুরগির ডিমের দাম ২ টাকা বেড়ে হালি পড়ছে ৫০ টাকা।

এ সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা ও লেয়ার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা ও লেয়ার ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাইজ অনুসারে দেশি মুরগি ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। তবে এ সপ্তাহে প্রতিকেজি চিনির দাম কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে চিনির দাম ৬০ টাকা হলেও এ সপ্তাহে তা ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা প্রতিকেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশি রসুন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, রসুন (মোটা) ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এ সপ্তাহে গরুর মাংস (বাজারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায়। কোনো কোনো বিক্রেতাকে ৪৩০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া খাসির মাংস ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহ থেকে মাছের দাম একটু বেড়েছে এ সপ্তাহে। রুই মাছ কেজিপ্রতি (ছোট) ২২০ টাকা, রুই (বড়) ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে।


বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
এমসি/ওএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।