ঢাকা: রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে শীতের সবজির ঘাটতি না থাকায় কমেছে সবজির দাম। তবে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম।
অন্যদিকে প্রতি কেজি পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, আঠাশ ৪২, উনত্রিশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা, মিনিকেট ৪৮, নাজিরশাইল ৫২ টাকা ও পোলাউ চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকায়।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য মেলে।
কারওয়ান বাজারে কাঁচাবাজার করতে এসেছেন নাজমুল হাসান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সবজির বাজার দর কিছুটা কম। শিম গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কিন্তু আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ৩২ টাকা, দেশি আদা ১২০-১২৫ টাকা এবং চায়না আদা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি রসুন ৯০ টাকা, একদানা রসুন ১৫০ টাকা ও চায়না রসুন ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, আলু ৩০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা এবং পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে।
এছাড়া পালং শাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ১০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ২০ টাকা ও কাঁচাকলা হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাছের দামও কমেছে কিছুটা। বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি রুই আকার ভেদে ২৫০-৩০০ টাকা, কাতল ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা,পাঙ্গাস ১২০, তেলাপিয়া ২০০, বাইন ৪০০-৬০০ টাকা, চায়না পুঁটি ১৫০-১৬০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩৬০ ও বড় ৬২০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, লেয়ার ১৬০ টাকা, গরুর মাংস ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি আকার ভেদে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়।
কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা আসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত দু’দিন সবজির বাজার ভালো। তাই দামও একটু কম। কিন্তু শীতের সবজির ঘাটতি দেখা দিলে আবার সবজির দাম বাড়বে। তবে দাম সহনীয় থাকলে বিক্রি ভালো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
এসজে/এএ