ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া টাকা ফেরতের বিষয়ে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক করপোরেশনের দেওয়া বিবৃতিকে পাত্তা দিচ্ছে না বাংলাদেশ।
রোববার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, চুরি করা টাকা কিভাবে একটি ব্যাংকের সম্পত্তি হতে পারে সে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। তবে এ টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। কারণ, বাংলাদেশ সরকারের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ও সরকার।
এছাড়া ২৯ মিলিয়ন ডলার বর্তমানে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে অবমুক্ত করা আছে, যা আমরা পাবো। তবে কবে পাবো সে বিষয়ে বলতে পারছি না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের আওতায় ফিলিপাইন সরকার এরইমধ্যে রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করেছে। অতএব আমরা এ টাকা পাবে বলে আশা রাখি।
সংবাদ সম্মেলনের আগে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশে ব্যাংকের গর্ভনর ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব ইউনুচুর রহমান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফিলিপাইন সফর করে এসেছেন। এরইমধ্যে সেদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিয়েছে। রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমে চুরি যাওয়া টাকা সে দেশের ক্যাসিনোতে গিয়েছে তা আজ প্রমাণিত।
‘টাকা কিভাবে চুরি হলো সেটা বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় সত্য হলো ‘চোরেরা’ তাদের ব্যাংক ব্যবহার করেছে, এবং চুরির টাকা কোনোভাবেই তাদের নিজেদের সম্পত্তি হতে পারেনা। রিজাল ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের ঘটনার শুরুতেই একটি আন্ডারস্টেন্ডিং হয়েছিল। তাতে তারা সব টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারও করেছিল। এখন তারা সে অবস্থান থেকে সরে আসতে চাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের কাছেও চুরি যাওয়া কিছু টাকা (২৯ মিলিয়ন ডলার) বাজেয়াপ্ত অবস্থায় আছে। আদালত নিশ্চয়ই এ বিষয়ে ন্যায্য সিদ্ধান্ত দেবেন।
ফিলিপিন্স সরকার এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে। সে বিষয়ে মুহিত বলেন, না এটা আমরা দেবো না। এটা আমাদের একদমই নিজস্ব বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬/আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা
আরএম/জেডএস