ঢাকা: রাজধানীর পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। ফলে বাজারে আসা ক্রেতাদের মনে এক ধরনের ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন,পাইকারি বাজার থেকেই সবজি তাদের বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ও খুচরা বাজার বাড্ডা ও নতুন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে বেগুন (সাদা) কেজি প্রতি ৩৫টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকায়, পেঁপে কেজি প্রতি ২৫টাকা,পাতাকপি প্রতি পিচ ২০টাকা,লাল শাক আটি ১০টাকা, সিম আকার ভেদে কেজি প্রতি ৩০-৫০টাকা, ফুল কপি প্রতি পিচ ২৫টাকা, লাউ পিচ ২৫টাকা, নতুন আলু ৩০টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি আটি ১০টাকা ও মূলা ২০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজধানীর বাড্ডা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে, বেগুন (সাদা) কেজি প্রতি ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকায়,পেঁপে কেজি প্রতি ৩০ টাকা,পাতাকপি প্রতি পিচ ২৫ টাকা,লাল শাক আটি ১২ টাকা, সিম আকার ভেদে কেজি প্রতি ৪০-৬০ টাকা,ফুল কপি প্রতি পিচ ৩৫ টাকা,লাউ পিচ ৩০ টাকা, নতুন আলু ৩৫ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি আটি ২০ টাকা ও মূলা ৩০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তেমনিভাবে আবার নতুন বাজার কাঁচাবাজের বিক্রি হচ্ছে,বেগুন (সাদা) কেজি প্রতি ৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪৫ টাকায়,পেঁপে কেজি প্রতি ২৪টাকা,পাতাকপি প্রতি পিচ ২৫ টাকা,লাল শাক আটি ১৫ টাকা, সিম আকার ভেদে কেজি প্রতি ৩৫-৪৫ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিচ ৩০ টাকা, লাউ পিচ ৩০ টাকা, নতুন আলু ৩৫ টাকা, টমেটো ৬০টাকা, গাজর ৩৫ টাকা, পেঁয়াজের কালি আটি ১৫ টাকা, পেঁয়াজ দেশি কেজি ৩৫ টাকা, ইন্ডিয়ান ২৫ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা কেজি ১২০ টাকা ও মূলা ২৫ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৬০টাকা, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪২০ টাকা ও দেশি মুরগি হালি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তেমনি ভাবে পাঙ্গাস মাছ বড় ১৪০ ও ছোট কেজি প্রতি ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাগুর মাছ ছোট ১০০ টাকা, রুই বড় কেজি ৩২০ টাকা, শৈল মাছ কেজি ৫০০ টাকা, কই মাছ কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুসরি ডাল ১৪৫ টাকা ও মোটা মুসরির ডাল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউলের দাম রয়েছে আগের মতোই। এরফান-২৮ বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকায়, রিয়াদ মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ২১৫০ টাকায়, লিলি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে বস্তা প্রতি ২৩০০ টাকায়, রশিদ মিনিকেট ২৩৫০ টাকায়, রশিদ জিয়া বস্তা প্রতি ২১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে নতুনবাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, তাদেরকে কারওরান বাজার থেকে যে দামে ক্রয় করেতে হয় ব্যবসা স্থলে সবজি আনতে তার প্রায় দ্বিগুন অর্থ খরচ হয়ে যায়। কারণ বিভিন্ন টোল,পরিবহন খরচও সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে গেলে বেশি দাম পড়ে যায়। তাই খুচরা বাজারে বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
কারওয়ান বাজারে পাইকারি সবজি বিক্রেতা মিলন ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম বাড়েনি কিন্তু খুচরা বাজারে সবজি বিক্রেতারা সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে আমাদের কিছু করার নেই। তারা গত এক সপ্তাহ আগেও যে দামে সবজি বিক্রি করেছেন এখনও সেই একই দামেই তারা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারে দাম কেমন জানতে চাইলে বাড্ডা সবজি বাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হুমায়ন ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, গত দু’দিন ধরে সবজির দাম একটু বেশি। যেমন লম্বা বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুইদিন আগেও তিনি ৪০টাকায় ক্রয় করেছেন। শুধু তাই নয়, অন্য সবজির দামও বেড়েছে বলে তিনি জানান।
তবে এইভাবে যদি সবকিছুর দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে তাদের জন্য সমস্যা বলেও তিনি যোগ করেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
এসজে/বিএস