আশুলিয়া (ঢাকা): বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির(বিজিএমইএ) ঘোষণায় ৪র্থ দিনের মতো বন্ধ রয়েছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের ৫৫টি পোশাক কারখানা। অব্যাহত শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বন্ধ থাকা কারখানার প্রধান ফটকগুলোর সামনে ছাড়াও গোটা শিল্পাঞ্চলে মোতায়েন রয়েছেন কয়েক হাজার পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শ্রমিকদের কারখানা কিংবা মহাসড়কে না উঠতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। শান্ত রয়েছে আশুলিয়া ও এর আশপাশের সমস্ত এলাকা।
এদিকে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় প্রায় এক হাজার জনকে আসামি করে ফাউনটেন, এনআরএন, দ্য রোজ ড্রেসেস, উইন্ডি গ্রুপ ও হামীম গ্রুপ কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি মামলা দায়ের করেছে।
ইতোমধ্যে ১০ জন শ্রমিক, ৮ জন শ্রমিক নেতা, অভিনেতা, স্থানীয় একজন সাংবাদিক ও সাভার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খোঁজা হচ্ছে উস্কানি মামলার আসামি সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুকে।
শিল্পাঞ্চলের জামগড়া, জিরাবো, নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া এলাকার পোশাক কারখানাগুলো ছাড়া ডিইপিজেডসহ অন্যান্য এলাকার পোশাক কারখানা গুলোতে উৎপাদন অব্যহত রয়েছে।
এদিকে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন বন্ধ থাকা পোশাক কারখানার সাধারণ শ্রমিকরা। তারা কোনো আন্দোলনে যেতে চান না, শান্ত পরিবেশে নিরাপদে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। প্রতিদিনের মতো কারখানা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর সামনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। আটককৃতদের যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়া ও কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তারা ঘোষণা দিলে কাজ শুরু করতে পারবেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
এএসআর