ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘এনবিআরে দুনীর্তিগ্রস্তদের রোগ সারানো হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
‘এনবিআরে দুনীর্তিগ্রস্তদের রোগ সারানো হবে’

এনবিআরে ভবিষ্যতে যেন দুর্নীতির বীজ যাতে রোপিত হতে না পারে ও ইতোমধ্যে যারা দুনীর্তিগ্রস্ত হয়ে গেছেন তাদের রোগ সারাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে পার্টনারশিপ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

ঢাকা: এনবিআরে ভবিষ্যতে যেন দুর্নীতির বীজ যাতে রোপিত হতে না পারে ও ইতোমধ্যে যারা দুনীর্তিগ্রস্ত হয়ে গেছেন তাদের রোগ সারাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে পার্টনারশিপ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে করদাতাবান্ধব রাজস্ব সংস্কৃতি চর্চার চলমান প্রয়াসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চলতি মাস আইন প্রয়োগের মাস। এ মাসে এনবিআরের অন্যতম পরিকল্পনা হচ্ছে, দুনীর্তি দমন কমিশনের সাথে এনবিআর এর পার্টনারশিপ। এ পার্টনারশিপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যাতে দুনীর্তির বীজ রোপিত না হয় তার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা দুনীর্তিগ্রস্ত হয়ে গেছেন তাদের রোগ সারানোর জন্য প্রতিষেধক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর আইনজীবীদের কাছে দুনীর্তির কোন তথ্য থাকলে জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
এনবিআর ও কর আইনজীবীদের সেতুবন্ধন তৈরির আহ্বান জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আটটি বিভাগে কর আইনজীবীদের সাথে কাজ করবে এনবিআর। এনবিআর ও করদাতাদের মাঝখানে আয়কর আইনজীবীদের সেতুবন্ধন হিসেবে দেখতে চাই।

করদাতাদের মাঝে কিছু আইনজীবী ‘প্রতিবন্ধক’ হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু কিছু আইনজীবী মানুষকে ভয় দেখান। ভয় দেখিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে দূরে ঠেলে দেন। এনবিআর ও কর আইনজীবীরা সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবো। জনগণকে সর্বোচ্চ করসেবা দেব।

এনবিআরের কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত, কর আইনজীবীদের এমন বক্তব্যে এনবিআর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের গায়ে দ্রুত ইউনিফর্ম দিতে হবে। পয়েন্ট একটাই, এখন বদলাতে হবে। পরগাছা দিয়ে অফিস চালানো যাবে না।

মাঠ অফিসের কর্মচারীদের পোশাক ও অভিযোগের বিষয়ে তদারকি করতে কর প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, সব কর্মকর্তাকে নিজ অফিসে বসতে হবে, ইউনিফর্ম পরতে হবে, যার যার কাজ তাকে করতে হবে।

সারা বছরের কাজের মূল্যায়নে এনবিআরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সালতামামি তৈরি করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সারাবছর রাজস্ব আহরণে কি করেছেন, করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরি, পার্টনারশিপ স্থাপনে কি ভূমিকা রেখেছেন, নিজের মূল্যায়ন নিজেকেই করতে হবে।

আয়কর আইনজীবীদের নিয়ে একটি স্থায়ী কনসালটেটিভ কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, এ কমিটি বছরে একবার বসে পারস্পরিক তথ্য আদান করবেন। এ কমিটিতে আলোচনা করা হবে কিভাবে করদাতা ও রিটার্ন সংখ্যা বাড়ানো, মামলার জট কমানো যায়।
 
অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (ট্যাক্সেস লিগ্যাল এন্ড এনফোর্সমেন্ট) ড. মাহবুবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য (অডিট, ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন) মীর মুস্তাক আলী, ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরকার আকিল আহমেদ ফারুকী, বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল হুদা, মহাসচিব এমএ গফুর মজুমদার প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
আরইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।