পায়রা বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসার প্রসার ও নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য মূসক, শুল্ক ও আয়কর প্রণোদনা প্যাকেজ (কর ছাড়) ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে বরিশালের ব্যবসায়ী ও করদাতাদের রাজস্ব প্রদানের সুবিধার জন্য বরিশালে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিস স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বরিশাল হোটেল গ্র্যান্ড পার্ক মিশন কনফারেন্স রুমে ভ্যাট অনলাইন আয়োজিত প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বিষয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে প্রশিক্ষক সৃজনের লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
দ্য বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তুলনায় বরিশালের ব্যবসায়ীরা অনেক দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। ২০১৮ সালে স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালু হলে এ সেতু দিয়ে আমরা সম্ভাবনাময় পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবো। এ অঞ্চলের অর্থনীতির গতি পরিবর্তন হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, বরিশালে গ্যাস নেই, বিদ্যুতের মাধ্যমে শিল্প কলকারখানা চলে। এর কারণে অনেক সমস্যা। এতে রাজস্ব সংগ্রহেও সমস্যা। বরিশাল বিভাগের ব্যবসায়ীরা সরকারের রাজস্ব সংগ্রহে অংশীজন হতে চায়। বরিশাল বিভাগে কোনো কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিস নেই। ভ্যাট ও শুল্ক প্রদানে ব্যবসায়ীদের খুলনা যেতে হয়। বরিশালে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিস হলে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ভ্যাট ও শুল্ক দিতে পারবে।
এছাড়া রাজস্ব আদায় অনেক বেড়ে যাবে। ভ্যাট আইন সহজবোধ্য ও সংক্ষিপ্ত করার দাবি জানান তিনি।
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এনবিআর সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, পারভেজ ইকবাল, সিআইসি মহাপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. আমিনুর বর চৌধুরী, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ গাউস, খুলনা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার কেএম অহিদুল আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
আরইউ/জিপি/আইএ
** দক্ষিণাঞ্চলে ‘রাজস্ব যাত্রা’