মেলার এক ও দুই নম্বর কাউন্টারে বিকাশের মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করা যাচ্ছে।
মেলার প্রধান ফটকের এক ও দুই নম্বর গেটের সামনে গেলেই চোখে পড়ে ‘বিকাশ একাউন্ট খুললে মেলায় প্রবেশ টিকিট ফ্রি’ লেখা কাউন্টার।
বিকাশ একাউন্ট খোলা সহজ। জাতীয় পরিচপত্র অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা পাসপোর্টের মূল ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে থাকলেই বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
তবে ছবি সঙ্গে না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। মেলা ফটকেই ছবি তোলার ব্যবস্থা করেছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া মেলায় গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দুটি বুথ চালু রয়েছে। মেলায় আগতরা বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে পারছেন। বেশ কিছু স্টলে বিকাশ দিয়ে কেনাকাটাও করা যাচ্ছে।
বিকাশের মুখপাত্র জাহেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটা মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য একটা চমৎকার অভিজ্ঞতা। কারণ এর মাধ্যমে তারা মেলায় ফ্রি প্রবেশের পাশাপাশি প্রয়োজনে বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে কেনাকাটা করতে পারবেন। এই জন্য মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে দুটি এজেন্ট বুথ।
তিনি আরও বলেন, কোনো গ্রাহকের যদি সঙ্গে নগদ টাকা ঘাটতি থাকে তাহলে তিনি অন্য যেকোনো বিকাশ ব্যবহারকারী থেকে তার নিজের একাউন্টে টাকা এনে মেলা প্রাঙ্গনে বিকাশ বুথ থেকে ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন।
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুসারে বাংলাদেশে নিবন্ধিত মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৩ কোটির ৯৬ লাখের বেশি। এই গ্রাহকের বেশির ভাগই হচ্ছে বিকাশের।
শুধু নগদ টাকার লেনদেনই নয় বিকাশের মাধ্যমে কেনাকাটা, মোবাইল ফোনের এয়ারটাইম ক্রয়সহ অনেক কিছুই করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
বিএস