ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’  শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু

ঢাকা: ভারতের উত্তর-পূবার্ঞ্চলীয় ও পূবার্ঞ্চলীয় রাজ্যগুলোসহ আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘গেইম চেঞ্জার’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। 

তিনি বলেন, কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের চমৎকার সুযোগ তৈরি হয়েছে।  

শিল্পখাতে যৌথ বিনিয়োগ বাড়িয়ে এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য ভারতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

 

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) তৃতীয় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ তিনি আহবান জানান।  

কলকাতার মিলনমেলা হলে দু’দিনব্যাপী এ বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী এর উদ্বোধন করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ ও কর্পোরেট বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রী অরুন জেটলি বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ভারতকে কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। শিল্প ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বাণিজ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দু’দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে উভয় দেশের সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।  

এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন, বর্ডার হাট চালু, ভারতীয় সেকেন্ড লাইন অব ক্রেডিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উন্নয়নে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন, নতুন ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন/ল্যান্ড পোর্ট স্থাপন, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ১০ জিবি ইন্টারনেট বেন্ডউইথ সরবরাহ ইত্যাদির কথা তিনি তুলে ধরেন।  

আমির হোসেন আমু বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় স্থান। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কাযকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের বিনিয়োগনীতি এবং শিল্পনীতি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় সেবা ও ইনসেনটিভ জোরদার করা হয়েছে।  

পাশাপাশি সড়ক, মহাসড়ক, বন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তুলছে। ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে এর একটি তাদের জন্যও একটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।  বাংলাদেশে বিরাজমান স্থিতিশীল পরিবেশে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য ভারতে পুনঃরফতানির সুযোগ রয়েছে।  

এছাড়া, যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যেতে পারে। তিনি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ, সফটওয়্যার নির্মাণ, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, জাহাজ নির্মাণ, হিমায়িত মৎস্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধ, প্লাস্টিক, ফার্নিচার, হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য,পর্যটন ও বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং, অটোমোবাইল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মহাকাশ গবেষণা, চা ও পর্যটন শিল্পখাতে বিনিয়োগের জন্য পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
ওএফ/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।