ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘গ্রামীণ ব্যাংকের নামে কর সুবিধা নিয়েছেন ড. ইউনূস’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
‘গ্রামীণ ব্যাংকের নামে কর সুবিধা নিয়েছেন ড. ইউনূস’ বেসিস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের নামে তার সব প্রতিষ্ঠানের কর সুবিধা নিয়েছেন। এটি অনৈতিক এবং এর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ড. ইউনূসের সম্পত্তির বিষয়ে কথা বলেন।

এ বিষয়ে কী ভাবছেন- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে রফতানি আয়ের পরিমাণ নিয়ে তথ্য বিভ্রান্তি নিয়ে অ‍ালোচনা হয়।
 
বেসিসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । বেসিসের পক্ষে অর্থমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি উত্থাপন করেন তিনি।
 
দাবিগুলো হলো- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রফতানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা খাত তৈরি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রফতানির জন্য ২০ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান এবং এ প্রণোদনাকে আয়করমুক্ত রাখা।
 
পলক বলেন, ‘আমরা যখনই ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ডিংয়ে যাচ্ছি, প্রেজেন্টেশনে বলছি, ৭শ’ মিলিয়ন ডলারের  রফতানি করি, তখনই তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে সোর্স হিসেবে উল্লেখ করে বলছে, তোমরা ১৫৪ মিলিয়ন ডলার রফতানি করো। বাংলাদেশ ব্যাংকে রফতানির যতো খাত আছে, সেখানে কম্পিউটিং খাত আছে’।
 
পলক বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহজ ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তাদের জন্য ইক্যুইটি এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফান্ড (ইইএফ) বর্তমানে বন্ধ আছে। ইইএফ আবার শুরু করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি’।
 
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি কনসিডার করা হবে। প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রীও থাকবেন’।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কম্পিউটিং খাতের মধ্যে ডাটা প্রসেসিং, পরামর্শক সেবা ও সফটওয়্যার রফতানির হিসাব করা হয়। এ খাতে এ পর্যন্ত ১৫৪ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছে’।
 
‘বেসিসের কাছে রফতানির পরিমাণ আরও বেশি হওয়ার তথ্য থাকায় বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা করা উচিত’।
 
অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসই/বিএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।