ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে ময়দা ও রসুনের দাম, কমেছে সবজির

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
বেড়েছে ময়দা ও রসুনের দাম, কমেছে সবজির বেড়েছে রসুনের দাম; প্রতিকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ময়দা ও রসুনের দাম। অন্যদিকে দাম কমেছে আদা ও  শীতকালীন সবজির। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর  কারওয়ান বাজার,বাড্ডা বাজার ও নতুনবাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে তীরের খোলা ময়দা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩৫ টাকা।

এছাড়া দেশি রসুনের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৬০ টাকা।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী রতন বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করেই ময়দা ও রসুনের দাম বেড়ে গেছে। তবে কেন দাম বেড়েছে সেটা বলা মুশকিল। তারা মোকাম থেকে যেমন দামে মাল ক্রয় করেন ঠিক তেমনভাবেই আবার বাজারে বিক্রি করেন। তবে ঘনঘন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার ফলে কাস্টমারদের সঙ্গে কখনো ঝগড়া বিবাদও লেগে যায় বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে শীতের বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি আলু ১৫ টাকা, কালো বেগুন ৪০ টাকা, সাদা বেগুন ৩০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ছিম ৩০ টাকা, বিচি ছিম ৪০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ২৫ টাকা, লাল শাক ও পালং শাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ১৫ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগি হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯শ’ টাকায়।
কিছুটা কমেছে শীতকালীন সবজির দামকেজিপ্রতি দেশি মসুর ডাল (দেশি) ১৩০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৯০ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) ১০৫ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ৯০ টাকা, মাষকলাই ১২০ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে  ও চিনি ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে চলতি মাসের মধ্যবর্তী সময়ে লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৩ টাকা প্রতি লিটার। যা আগে ছিলো ৯৮ টাকা। সিটি গ্রুপের তীর তেলও ৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে চালের দামও কেজি প্রতি বেড়েছে ২-৩ টাকা করে করে। মোজাম্মেল মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, হবি আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে,সিলভার কার্প কেজি ১৪০ টাকা, পাঙ্গাস কেজি ১৩০ টাকা, কাতল কেজি ১৮০ টাকা, রুই কেজি ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি ১০০ টাকা, সরপুঁটি ২৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা আলমগীর হোসেন বলেন, সবজির দাম সম্পর্কে কিছু বলা যায় না। এই এখন একদাম তো কাল আবার অন্য দাম। আমরা যারা চাকরিজীবী রয়েছি তাদেরই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা। কেননা রাজধানীতে ছোট একটা চাকরি করে পরিবার নিয়ে থাকাটা অনেক কষ্টের। একদিকে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, অন্যদিকে বাড়ছে পরিবারের খরচও। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭,২০১৭
এসজে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।