ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রূপালী ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর ২০১৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭
রূপালী ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর ২০১৭

ঢাকা: রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেছেন, সব ব্যাংকেই আর্থিক শৃংখলাসহ বেশ কিছু ঘাটতি আছে, শৃংখলা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবে না।

বিশৃংখলা সৃষ্টি করলে তাকে হিসাবের মধ্যে আনতে হবে। নিয়মের বাইরে কেউ গেলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না। শ্রেণিকরণ ঋণ এক সংখ্যায় আনা, সেবার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া, নিয়ম শৃংখলার মধ্যে আসতে পারলেই রূপালী ব্যাংক শ্রেষ্ঠ ব্যাংক হবে। এজন্য সহকর্মীরা তৎপর হবেন, সবাই একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিবেন। তাহলেই এ বছর হবে ঘুরে দাঁড়ানোর শীর্ষে যাওয়ার বছর। এজন্য ভালো ঋণ গ্রহীতা আনার পাশাপাশি সকল শাখা থেকেই কম করে হলেও এককোটি টাকা ঋণ বিতরণ করতে হবে।

আতাউর রহমান প্রধান বলেন, বড় খেলাপীদের কাছ থেকে ৩শ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। এখন লোকসানি শাখা ৮০টি। গত বছর প্রায় দেড়শ কোটি টাকা অতিরিক্ত বেতন দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আমাদের ঋণ বিতরণের বাজেট বিভাজন করে সব জোনাল ম্যানেজারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ব্যাংকের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে আপনাদেরকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নন পারফর্মিং ঋণের কারণে মূলধনের উপর চাপ বাড়ছে। অন্যান্য ব্যাংকের মূলধন যেখানে ৪শ’ কোটি টাকা সেখানে আমাদের মাত্র ৩শ কোটি। কম মূলধন নিয়ে আর্ন্তজাতিকভাবে ব্যবসা করা কোন ভাবেই সম্ভব না। মূলধন পেলে অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আর্ন্তজাতিক ও স্থানীয়ভাবে ভালো অবস্থানে আসতে পারবো। আমরা নিয়মের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে প্রস্তুত আছি। ন্যূনতম কোন অনিয়ম করে নয়। ব্যাংকের আর্থিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বত্র চেষ্টা করছি। এজন্য পর্ষদ এককভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমরা জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছি। রূপালী ব্যাংকের ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশ ঢাকা শহরে কেন্দ্রীভূত।  

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৫শ’ ১০ টি শাখা কোর ব্যাংকিং সলিউশন (সিবিএস) এর আওতায় এনেছি। বাকিগুলো এ বছরের মার্চের মধ্যে সিবিএস এর আওতায় আসবে। এটি সম্পন্ন করা গেলে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মধ্যে একমাত্র রূপালীই হবে শতভাগ অটোমোটেড ব্যাংক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানে ১ কোটির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৬০ লাখ মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয়েছে।

বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানের কাজ পেলে অন্যান্য কার্যক্রম কমিয়ে এগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া হবে। রূপালী ব্যাংকের বড় সম্পদ ৫শ’ ৬২ টি শাখার ম্যানেজার। যাদের ৯০ শতাংশই তরুণ। ৬০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের নিচে।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন-  চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক, পরিচালক অরিজিত চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ, আব্দুল বাসেত খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
এসই/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।