ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেট্রাপোলে ধর্মঘট ২য় দিনে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭
পেট্রাপোলে ধর্মঘট ২য় দিনে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ

বেনাপোল (যশোর): ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের একাংশের ডাকা ধমর্ঘট দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। এতে পেট্রাপোল ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে এ পথে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত এবং বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসে  পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে চলছে এই ধমর্ঘট।

এদিকে, আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে আটকা রয়েছে পণ্যবাহী সহস্রাধিক ট্রাক।

এর মধ্যে মেশিনারি, গার্মেন্টস সামগ্রীর কাঁচামালের পাশাপাশি মাছ, পানসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না করলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এই বৈষম্যের প্রতিবাদে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তিতুমীর আহম্মেদ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলানিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলমান সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসছে না। তবে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য খালাস কার্যক্রম ও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতাযাত স্বাভাবিক রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দুইদিনের টানা ধর্মঘটে বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে প্রায় সহস্রাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্প কারখানার জরুরি কাঁচামাল ও বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য রয়েছে। যা নষ্ট হওয়ার পথে। দ্রুত এসব পণ্য খালাস করা না গেলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্ভবনা  রয়েছে।  

এর আগে শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বড় ২০ ব্যবসায়ীর রফতানি পণ্যবাহী গাড়ি আগে বাংলাদেশে ঢুকবে এবং পরে ছোট ব্যবসায়ীদের পণ্য ঢুকবে-এমন নিয়ম চালু করা হয়। এতে ছোট ব্যবসায়ীরা জোটবদ্ধ হয়ে এ ধর্মঘটের ডাক দেন।  

উল্লেখ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে ব্যবসায়ীদের বানিজ্যে আগ্রহ বেশি। বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৩ কিলোমিটার। মাত্র তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে রওনা হয়ে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। এতে  সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি হচ্ছে। রফতানি হচ্ছে ২শ’ ট্রাক। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এজেডএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।