ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বিকাশের বিরুদ্ধে ব্যাংকারদের দাবি অযৌক্তিক’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
‘বিকাশের বিরুদ্ধে ব্যাংকারদের দাবি অযৌক্তিক’  বিকাশ লোগো

ঢাকা: মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের লেনদেন নিয়ে ব্যাংকারদের অযৌক্তিক দাবি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণ বৃদ্ধি করতে তারা বিকাশের বিরুদ্ধে এ অযৌক্তিক দাবি তোলে আসছে।

মুহুর্তেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশে খুবই জনপ্রিয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ২০১০ সাল থেকে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছে। মূলত স্বল্প আয়ের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নেয়।
 
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অল্প দিনের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে বিকাশ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, রিকশা চালক, দিনমুজুর, পোশাক শ্রমিকর‍া বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন।

এদিকে প্রবাসী আয় আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স আহরণকারী ২০টি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কয়েকটি ব্যাংকের প্রতিনিধি হুন্ডিতে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠানো রোধে বিকাশের ক্যাশ আউট বন্ধের অযৌক্তিক দাবি জানান।
 ফেসবুকে উল্লেখিত স্ট্যাটাস
বৈঠক শেষে ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি জানানোর পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। বিকাশ ব্যবহারকারীরা বিকাশের সুবিধা ও ব্যাংকের হয়রানীর কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
 
কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, মামা বাড়ির আবদার। বাংকের স্বেচ্ছাচারিতা যখন চরম পর্যায়ে যায় তখন বিকাশ এর অর্থাৎ মোবাইল বাংকিং এর আবির্ভাব হয়।
ব্যাংকগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে গ্রাহকেরা টাকা জমা বা উত্তোলন করতে গ্রাহকের ২-৩ ঘণ্টা সময় নষ্ট করতে হয়।

বড় বড় কলকারখানার কাঁচামাল সরবরাহকারী থেকে গ্রামের প্রান্তিক কৃষক বিকাশ বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে চরম গতিশীল করেছে। একজন গার্মেন্টস কর্মী খুব সহজেই বিকাশ এর মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাতে পারছেন। যার জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক কোটি পেরিয়ে গেছে।
 
মিজানুর রহমান নিজাম লিখেছেন কেন এখন কেউ ব্যাংকে ২০০০ টাকার চেক নিয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে না। ব্যাংগুলোর এখন মানুষের বোঝা। দৈনিক কোটি কোটি টাকা বিকাশে লেনদেন হয়। মানুষ যেখানে ভালোভাবে লেনদেন করতে পারবে সেখানেই যাবে। এটা মানুষের অধিকার।
 
বুলবুল আহমেদ লিখেছেন- বিকাশের অনিয়মগুলি খুঁজে বের করে তা কিভাবে রোধ করা যায় ভেবে প্রতিকার করুন। ক্যাশআউট বন্ধ হলে লাখ লাখ মানুষের অসুবিধ‍া হবে। ব্যাংকে সাধারণ পাবলিকের সঙ্গে ওনারা খ‍ুব একটা ভাল আচরণ করেন না। ছোট গ্রাহকেরা খুব একটা ভাল সেবা ব্যাংক থেকে পান না।
 
এনামুল হক লিখেছেন বিকাশ ব্যাংকের চেয়েও জরুরি, যদি বিকাশ বন্ধ করেন, তবে ২৪ ঘণ্টা ব্যাংক চালু করুন।
 
মাসুদ রানা লিখেছেন, প্রয়োজনে বিকাশ রেমিট্যান্সে এ ভ্যাট লাগানো হোক। ২৪ ঘণ্টা বিকাশে লেনদেন করা যায়। লোকাল ব্যাংকে একটা রেমিটেন্স গ্রহণ করতে আমার ১ সপ্তাহ সময় লেগে গিয়েছিলো।
 
আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ব্যাংকের অবস্থা নাজুক তো হবেই। সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা অফিসে বসে বসে আড্ডা দেয়। চেক নিয়ে যাওয়া মানে ১০ মিনিটের কাজ ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা।
 
এসডি জুয়েল লিখেছেন, ব্যাংকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। ব্যাংকে গেলে যদি বিদ্যুৎ না থাকে গ্রাহকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষ করতে হয়। শুক্রবার শনিবার কারও যদি ৫০০০ টাকা লাগে সে টাকা গ্রাম থেকে শহরে কিভাবে নেবে।
 
শিমুল চাকমা লিখেছেন, বন্ধ না করে বাংলাদেশ ব্যংকের উচিৎ বিকাশের সেবার মান আরো বাড়ানো। কারন যে কোনো ব্যংকে ৫০০ টাকা তুলতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর বিকাশে ক্যাশ আউট করলে সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসই/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।