ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘অ্যাশ বাংলাদেশ’ তামাক কোম্পানির নতুন কূটকৌশল!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
‘অ্যাশ বাংলাদেশ’ তামাক কোম্পানির নতুন কূটকৌশল! প্রজ্ঞার লোগো

ঢাকা: তামাক কোম্পানিগুলো তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রি ওয়াচ বিডি টিম @ প্রজ্ঞা। এমন প্রতিষ্ঠানের হঠাৎ করে আয়োজিত তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে তামাক কোম্পানিগুলোরই কূটকৌশল বলছে তারা।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ অভিযোগ তোলে। তাতে ‘অ্যাকশন অন স্মোকিং এন্ড হেলথ বাংলাদেশ’ (অ্যাশ বাংলাদেশ) নামে একটি সংগঠনের কর্মসূচির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়,  গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তামাকবিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে অ্যাশ বাংলাদেশ।

প্রতিষ্ঠানটি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারসহ আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।

প্রজ্ঞা বলছে, আপাতদৃষ্টিতে তামাকবিরোধী মনে হলেও, পুরো কার্যক্রমটি যে তামাক কোম্পানিগুলোর যোগসাজশে হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। অতিসম্প্রতি হাইকোর্টে এই সংগঠনটির এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তামাকপণ্যের মোড়কের উপরিভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেওয়ার উদ্যোগ আবারো বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তামাক কোম্পানিগুলো তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সচতুরভাবে নামসর্বস্ব এই প্রতিষ্ঠানটিকে কাজে লাগিয়েছে।

২০১৬ সালের ৮ সেপ্টম্বর উবিনীগ, প্রজ্ঞা এবং প্রত্যাশা’র সম্মিলিত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ প্রকাশিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্যাকেটের নিচের অংশে মুদ্রণ সংক্রান্ত ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই বিষয়ে ‘অ্যাকশন অন স্মোকিং এন্ড হেলথ বাংলাদেশ’ এর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগের সব কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ অনুযায়ী সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বহাল রাখার আদেশ দেন।
 
সংগঠনটি তাদের রিট আবেদনে দাবি করে, যেহেতু আইন মন্ত্রণালয় তামাকপণ্যের প্যাকেটের নিচের অংশে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের অনুমতি দিয়েছে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যান্ডরোল সংক্রান্ত এসআরও এর সাথে সাংঘর্ষিক তাই বর্তমান প্রচলিত নিয়মেই সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হোক। সুতরাং মূলধারার তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টতাবিহীন সংগঠনটির এসব কার্যক্রম অত্যন্ত সন্দেহজনক। এতে যে তামাক কোম্পানির মদদ রয়েছে তা সুস্পষ্ট।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ছদ্মবেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে তামাক কোম্পানির অংশগ্রহণ নতুন কিছু নয়। আগেও এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। ধারণা করা যায়, সংগঠনটি তামাকবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নয় এমন তথ্য হাইকোর্টে উপস্থাপনের আগেই নিজেদের তামাকবিরোধী সংগঠন হিসেবে প্রমাণ করতে ওই কর্মসূচি আয়োজন করে।

এ ধরনের পরিস্থিতি সম্মিলিতভাবে মোকবিলার জন্য সবাইকে সজাগ থাকারও আহবান জানানো হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।