ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কূটনৈতিক সুবিধার অপব্যবহার করায় জাগুয়ার গাড়ি জব্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৭
কূটনৈতিক সুবিধার অপব্যবহার করায় জাগুয়ার গাড়ি জব্দ জাগুয়ার ব্র্যান্ডের কার, ফাইল ফটো

ঢাকা: কূটনৈতিক সুবিধার অপব্যবহার করায় রাজধানীতে জাগুয়ার ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা।

গত ৩০ ডিসেম্বর গাড়িটি জব্দ কর‍া হলেও বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) সকালে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কূটনৈতিক সুবিধায় গাড়িটি আমদানি করে পরবর্তীতে তা অবৈধভাবে হস্তান্তর করা হয়।

গাড়িটি রাজধানীর পিংক সিটি, জেনো ভ্যালি, ঢাকা-১২২৯ এর গ্যারেজ থেকে জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ ডিসেম্বর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক ইমাম গাজ্জালীর নেতৃত্বে গোয়েন্দা দল ঐ গ্যারেজে তল্লাশি চালায় এবং সেখান থেকে ঢাকা মেট্টো ভ ১১-১৬২৫ নম্বরযুক্ত জাগুয়ার গাড়িটি জব্দ করে।


তদন্তের স্বার্থে ঐ বাড়ির বাসিন্দা বর্তমান ব্যবহারকারী তানিয়া রহমানের নিকট হতে গাড়িটি সাময়িক আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতরে নিয়ে আসে। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর শুল্ক গোয়েন্দারা বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িটি জব্দ করলো।

আটক গাড়ির মডেল: Car (Saloon) JAGUAR 2002, চেসিস নং: SAJACO1171FM2285, ইঞ্জিন নং: MIZ-138922363 ও রেজি নং: ঢাকা মেট্রো ভ-১১-১৬২৫, তৈরির সন: ২০০২।

গাড়িটির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১৫,৮৫,৪২১.৪৮ এবং শুল্ককরাদির পরিমাণ ২৩,৮২, ৮৮৮.৪৭ টাকা।

তিনি আরো বলেন, প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা অনুযায়ী, আমদানির সময় দাখিলকৃত বিল অব এন্ট্রি (বি/ই) অনুযায়ী গাড়িটির কান্ট্রি অব অরিজিন দেখানো হয়েছে জার্মানি। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট অনুযায়ী কান্ট্রি অব অরিজিন চায়না। অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্য।

আমদানি দলিলাদির ইনভয়েসে এলসি নম্বর উল্লেখ আছে ০৪৪০২০১০১০৩, তারিখ: ০৪/০৬/২০০২। কিন্তু বিল অব লেডিং (বিএল) অনুযায়ী এলসি নং-০৭৪৪০২০১০১০৩। আবার বি/ই-তে এই নম্বর আছে ১৭৪৪০২০১০১০৩। এলসি ও এলসিএ ওপেনিং ব্যাংকের তথ্যাদিতেও ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে।

এতে প্রমাণিত হয়, গাড়িটি অস্পষ্ট ও মিথ্যা দলিলাদি উপস্থাপন করে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে গাড়িটির প্রকৃত মালিক তানিয়া রহমানের স্বামী মৃত মাহবুবুর রহমান বংলাদেশে চেক রিপাবলিকের কনস্যুলার অফিসে কর্মরত ছিলেন। গাড়িটি কূটনৈতিক সুবিধায় আনা হয়েছিল এবং তা অবৈধভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এখন শুল্ক আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
এসজে/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।