ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হংকং-এ বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশ্বমানের বাংলাদেশি পণ্য আমদানি করুন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৭
বিশ্বমানের বাংলাদেশি পণ্য আমদানি করুন তোফায়েল আহমেদ। ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলাদেশে উৎপাদিত বিশ্বমানের পণ্য সামগ্রী আমদানির জন্য হংকংয়ের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

হংকং এর হোটেল হলিডে ইন-এ ক্রিস্টাল বল রুমে ‘বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকং’ এর যাত্রা শুরু উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।  

হংকং সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করছে।

উন্নত দেশের চাহিদা মতো এসব পণ্য তৈরি করে এরইমধ্যে বাংলাদেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। বাংলাদেশ এখন ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সাত কোটির বেশি কর্মক্ষম জনশক্তি রয়েছে আমাদের। যাদের গড় বয়স ২৫ বছরের মধ্যে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কম মজুরিতে দক্ষ জনবল পাওয়া সম্ভব। পণ্য পরিবহনে খরচও কম। দেশের সম্ভাবনাময় শিক্ষিত তরুণরা বাণিজ্যে সম্পৃক্ত। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশও ভালো।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংগত কারণেই বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। উজ্জল সম্ভাবনা দেখেই বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছেন। সরকার রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। দেশে এখন অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এ ক্ষেত্রে সরকার বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য হংকং-এ জনপ্রিয় হবে সন্দেহ নেই। এ ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের ভূমিকা পালন করতে হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের যে সব ব্যবসায়ী হংকং-এ  অবস্থান করছেন ব্যবসা প্রসারে তাদের দায়িত্ব অনেক।   বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকং এর মাধ্যমে এখানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চমৎকার, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবো। আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করবো। বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অবাক হচ্ছেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জল। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। তার আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল এবং মধ্য আয়ের দেশ হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো এবং স্বাভাবিক। গুলশানের হলি আর্টিজানের অপ্রত্যাশিত যে ঘটনা ঘটেছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষতার সাথে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে, দেশে-বিদেশে তা প্রশংসিত হয়েছে। নিরাপত্তার দিক থেকে এখন বাংলাদেশে কোন ধরনের সমস্যা নেই। প্রচুর বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। হংকং-এর বিনিয়োগকারীরাও এ সুযোগ নেবেন।
 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নবগঠিত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকং-এর প্রেসিডেন্ট একরাম খান। আরো বক্তব্য রাখেন-হংকং-এর আন্ডার সেক্রেটারি ফর কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট গুলফ্রে লিয়ং কিং কুয়োক, হংকং-এ নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ সারওয়ার এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকং-এর সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
আরএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।