ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের অনুমোদন

ঢাকা: দৈনিক ১ হাজার ৭ শ’ ৬০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের লক্ষ্যে শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪ হাজার ৯শ’ ৮৫ কোটি ‍টাকা।

এ প্রকল্পের আওতায় চীন সরকার ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে।

সভায় শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে জুন ২০১৮ সালে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি)।

সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শাহজালাল কারখানা থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন এবং বছরে ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে এর মধ্যে অন্যতম দেশে ইউরিয়া সারের আমদানি হ্রাস করে কাষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা। দেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ক্রমবর্ধমান ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে সুলভমূল্যে কৃষকদের নিকট ইউরিয়া সারের সরবারহ নিশ্চিত করা।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে ‘মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম’ এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২১ সাল নাগাদ কর্মসূচিটি এগিয়ে নিতে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে ডেনমার্ক সরকার অনুদান দেবে ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

‘দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের মোট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০৯ কোটি টাকা। ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যাক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙন থেকে বিভিন্ন এলাকা রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২১২ কোটি টাকা। ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩৯ কোটি টাকা।

একনেক সভায় ৭ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাত প্রকল্পের অনুমোদনও দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য চার হাজার ১৩ কোটি টাকা বাকিটা আসবে সরকারি খাত থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭/আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা
এমআইএস/আরআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।