ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাকা বাড়ির মালিকদের করের আওতায় আনা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
পাকা বাড়ির মালিকদের করের আওতায় আনা হবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী, ছবি: শাকিল

ঢাকা: রাজধানীর পাকা বাড়ির প্রত্যেক মালিককে করের আওতায় আনতে নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নয়টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে
২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হবে।

প্রত্যেকটি জোনে ট্যাক্স আদায় করতে ট্যাক্স টিম যাবে। বিশেষ করে ঢাকায় যতো পাকা বাড়ি আছে প্রত্যেক পাকা বাড়ির মালিকদের করের আওতায় আনা হবে। কেননা আমাদের করদাতার সংখ্যা কম। ১৬কোটি মানুষের দেশে ১ কোটি করদাতা থাকা উচিত। সেখানে বর্তমানে মাত্র ২৮ লাখ করদাতা রয়েছে। আগে করদাতার সংখ্যা ছিলো ১৪ লাখ। আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে করতাদার সংখ্যা ১কোটি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

এছাড়া বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে কিন্তু করদাতার লক্ষ্যমাত্রা না বাড়লে কি হয়? তাই করদাতার সংখ্যা বাড়ানো হবে।

মন্ত্রী বলেন, আলোচনায় কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো হচ্ছে, কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো। যেমন- আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। উপকূলীয় অঞ্চলে দর্জি ও আশ্রয়কেন্দ্র করতে বরাদ্দ বাড়ানো, তামাকের উপর ট্যাক্স বাড়ানো, সোলার প্যানেলের উপর শুল্ক বাড়ানো, কারিগরি শিক্ষাকে উপকূলীয় অঞ্চল পর্যন্ত নেওয়া, রাস্তাঘাটে পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে গেছে এজন্য পলিথিনের উপর ১ শতাংশ ইকোট্যাক্স বাড়ানো, আর উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস করার, রাজধানীর ঢাকা চিড়িয়াখানার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো, চট্টগ্রাম বিএসটিআই’কে শক্তিশালী করতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।

দোকানদাররা ভ্যাট আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীসহ দেশের দোকানদাররা ভোক্তাদের কাছ থেকে ভ্যাট নিলেও সেটা যথারীতিভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিচ্ছেন না। এটা এখন থেকে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। আর যেসব দোকানদার ভ্যাট রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেবে না সেটা প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
আলোচনায় অংশ নেন-  জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) মো.নজিবুর রহমান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, শওকত আলী, মকবুল হোসেন, তাজুল ইসলাম, ফজলে করিম চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদ, ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু, সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এসজে/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।