ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৃষ্টিতে ভাটা সবজি সরবরাহ, দাম ঊর্ধ্বমুখী

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
বৃষ্টিতে ভাটা সবজি সরবরাহ, দাম ঊর্ধ্বমুখী রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরে দোকানে সবজি সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ী

ঢাকা: গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সবজি সরবরাহ। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। সরবরাহ কম থাকায় দামও ঊর্ধ্বমুখী। এমন চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে সবজির দাম আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
 
 

সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও ধানমন্ডিসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
 
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও টানা বৃষ্টি হচ্ছে।

ফলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শাকসহ পচনশীল সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বেড়েছে। বৃষ্টির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে প্রতিটি সবজির দাম আরো বেড়ে যাবে। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কাঁচামরিচে।
 
মিরপুর-১ কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসেছেন গৃহিণী রীনা আক্তার। গত চারদিন সবজির বাজারে আসেননি তিনি। আজ বাজারে এসেই দেখেন সব সবজির দাম বেশি।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানদাররা বৃষ্টি-বন্যার কথা বলছেন।  
 
সবজির দাম ও সরবরাহের বিষয়ে মিরপুর-১ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে! সবজি আসবো কোথা থেকে? মালের ট্রাক সব আটকে আছে। দাম বেড়েছে, সামনে আরো বাড়বে।
 
মোহাম্মদপুর টাউন হলের পাইকারি বিক্রেতা সায়মন বলেন, খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি হলেও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে। কষ্ট করে মাল নিয়ে আসলেও স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করতে না পারায় সবজি পচে যাচ্ছে।
 
মিরপুর-১ নম্বর বাজারে সবজি সরবরাহ করেন আব্দুল বশির। তিনি বলেন, আমি নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ থেকে মাল নিয়ে আসি। বর্তমানে এসব এলাকা বন্যা কবলিত। তিনদিন ধরে কোনো ট্রাক আনতে পারিনি। বাজারে তো এর প্রভাব পড়বেই।  
 
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢেঁড়স, রেখা, ঝিঙা, জালি, করলা, বরবটি, ধুন্দুল, পটল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁচাকলা হালি ৪০ টাকা, লেবু হালি ৩৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া (ছোট) ৩০-৪০ টাকা, আলু (পুরান) প্রতি কেজি ১০-২৫ টাকায়।
  
এছাড়া লাল শাক, পালং শাক, সরিষা শাক, পুঁই শাক ও লাউ শাক কোনো কোনো স্থানে কম দামে বিক্রি হলেও তা তেমন সুবিধার নয়। একটু ভালোমানের শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, এখন পযর্ন্ত পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মাল আসতে না পারলে দাম বেড়ে যাবে। এদিকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩২ টাকা, আমদানি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এমসি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।