ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বাড়লে অার কমে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
দাম বাড়লে অার কমে না রাজধানীর পেঁয়াজের বাজার । ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কয়েক মাস ধরে বাড়তে বাড়তে গত অক্টোবরের মাঝামাঝিতে পেঁয়াজের দাম অাকাশ ছোঁয়। একলাফে প্রতি কেজি ৬০ থেকে উঠে যায় ৮০ টাকায়। সে সময় বাজারে অামদানি হলেই দাম কমে যাবে বলে অাশা প্রকাশ করেন বিক্রেতারা। তবে বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দাম কমার অাশা পাওয়া যায়নি।

অাগারগাঁওয়ের তালতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায় এখনো দেশি পেঁয়াজ ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়।

বিক্রেতা রবিউল বাংলানিউজকে বলেন, আড়তে দাম না কমলে অামরা কমাবো কিভাবে! এখনো বাজারে নতুন পেঁয়াজ অাসেনি।

তাই দাম পড়ার লক্ষণ তো দেখা যাচ্ছে না।

এখনো আমদানির ওপরই নির্ভর করছে পেঁয়াজের বাজার। আগামী অন্তত দুই মাস এ অবস্থা চলতে পারে। কারওয়ানবাজারের ৪২ নং আড়তে দেশি এবং ভারতীয় দুই ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহই দেখা যায়। তবে বিক্রেতারা বলছেন, এই পেঁয়াজ যথেষ্ট নয়।
রাজধানীর পেঁয়াজের বাজার ।  ছবি: বাংলানিউজএক মাস অাগে তো দেশি পেঁয়াজ ছিলো না বললেই চলে। এখন তো অনেক সরবরাহ দেখা যাচ্ছে খালি চোখে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতা সাইফুল বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। অার দেশি পেঁয়াজের নতুন বীজ এখনো অাসেনি। অারো ৪৫ থেকে ৫০ দিন পর অাসবে। তখন দাম কমে যাবে।

কারওয়ানবাজারের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, কেজি হিসেবে দেশি পেঁয়াজের (মোটা) দাম পড়ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা, দেশির (মিডিয়াম) দাম পড়ছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, ভারতীয় এলসি ৫০ টাকা, ভারতীয় নাসিক (মোটা) ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, ভারতীয় সাউথ ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা।

কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, বাজার থেকে ৭০-৭৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করা কঠিন মুদি দোকানে। মানুষ ভাবে বাজারে গেলে কম দামে কিনতে পারবে।

কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে আসলেই ১২ মাস চলা সম্ভব নয়। তাই আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাজারে না এলে দাম কমার লক্ষণ নেই।

পাবনা, ফরিদপুর এবং কুষ্টিয়া থেকেই দেশি পেঁয়াজের প্রায় নব্বই ভাগ চাহিদা পূরণ করা হয় বলে জানান তিনি। সঙ্গে এও জানান, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বিগত বছরগুলোর মতোই রয়েছে।

বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই লাল পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও চাহিদা নেই। মানুষ খায় না।

তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাই মনে করেন, একবার যে পেঁয়াজের দাম বাড়ে তা কমে না। কোন দ্রব্যেরই না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।