তবে চাল সংগ্রহে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে খুব একটা খুশি নন চুক্তিবদ্ধ মিলাররা। তাদের দাবি, বাজারে ধানের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সীমিত লাভ হবে তাদের।
তারপরও সংগ্রহ কার্যক্রম শতভাগ সফল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিলাররা। এসব অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, মিলারদের দাবি অনুসারে চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদী তিনি।
প্রতি মৌসুমের মতো গত ০৩ ডিসেম্বর থেকে জেলায় সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে, চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবার ১১ হাজার ১১৯.৫০৭ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করে দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৩৭৮ জন মিলার। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে খুব একটা খুশি নন তারা।
মিলারদের দাবি, মৌসুমের শুরুতেই ধান কেনা-বেচা হচ্ছে চড়া দামে। এতে চাল প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করা পর্যন্ত খরচ পড়ছে অনেক বেশি। ফলে খুব একটা লাভবান হতে পারছেন না তারা।
অনেকের অভিযোগ, প্রতি মৌসুমে সরকারকে চাল দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। বিনা কারণে দোষ-ত্রুটি ধরে চালান ঘুরিয়ে দেয় খাদ্য বিভাগ। পরে উৎকোচ দিলে ওই চালই গুদামে তোলে।
নওগাঁর ফারিহা রাইচমিলের মালিক শেখ ফরিদ উদ্দিনের অভিযোগ, অতীতে খাদ্য বিভাগে চাল সরবরাহ করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে তাদের। বিশেষ করে রোষানলে পড়েন সাধারণ মিলাররা। চাল দেওয়ার সব শর্ত পূরণ করলেও কেবল উৎকোচের জন্যই হয়রানি করা হয় তাদের।
এ মৌসুমে যেন এ ধরনের হয়রানির শিকার না হতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন এই মিল মালিক।
জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ রফিকুল ইসলামের দাবি, মৌসুমের শুরুতেই প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। এতে লাভ হলেও তা খুবই সীমিত বলেও জানান তিনি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে জানান, অতীতের কথা জানেন না তিনি। তবে বর্তমানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। তারপরও যদি কোনো অনিয়মে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান জানান, গত মৌসুমে মিলারদের দাবি ছিলো- ৩৯ টাকা কেজি দরে চাল দেবেন তারা। সে অনুসারে এ বছর ৩৯ টাকা দরেই চাল কিনছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এএসআর