ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রাম বন্দরকে শীর্ষ ত্রিশে দেখতে চান অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
চট্টগ্রাম বন্দরকে শীর্ষ ত্রিশে দেখতে চান অর্থমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী-ছবি- সুমন শেখ

ঢাকা: আগামীতে চট্টগ্রাম বন্দর আরো উন্নত জায়গায় পৌঁছে যাবে। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৭১তম।  আগামী ১৩ বছরে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ৩০তম স্থানে জায়গা করে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৭১তম স্থান অর্জন করায় মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হারমনি হলে বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাফল্য উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লন্ডনভিত্তিক জাহাজশিল্প বিষয়ক প্রাচীন সংবাদমাধ্যম লয়েড’স লিস্ট এর সম্পাদক লিন্টন নাইটিঙ্গেল।  

বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বন্দরটি ৪০০ খ্রিস্টপূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বন্দর হিসেবে মর্যাদা পায় ১৯৪৭ সালে। তখন এ অঞ্চলে এটিই ছিলো একমাত্র বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় যে অর্থ বরাদ্দ চায় আমরা তা দিতে পারিনি। অর্থনৈতিক সংকট, ব্যবস্থাপনা দুর্বলতা সত্ত্বেও বন্দরটি  আজ  বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে ৭১তম স্থান লাভ করেছে। এজন্য আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার আশা, আগামী ১৩ বছরে এ বন্দর শীর্ষ ত্রিশে স্থান করে নেবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে বন্দরের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাই বন্দরের কারণে রপ্তানিতে যেন কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ রপ্তানির উপর আমাদের অর্থনীতির অনেক কিছু নির্ভর করে। এজন্য বন্দরের সুবিধা বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য অতিথিরা
তিনি বলেন, একসময় এ বন্দর দিয়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো। সেই অবস্থা  থেকে এখন তা বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, অর্থনীতির জন্য দু’টি জিনিস খুব দরকার। একটি হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানি, অন্যটি অবকাঠামো। আর অবকাঠামোর মধ্যে বন্দর অন্যতম। বিদ্যুৎ সুবিধা বাড়ালে হয়তো নতুন শিল্পকারখানা গড়ে  উঠবে। কিন্তু শিল্পকারখানাকে এগিয়ে নিতে হলে বন্দরের সুবিধা দিতে হবে। এজন্য বন্দর সুবিধা ও জ্বালানি সুবিধা একসঙ্গে দিতে না পারলে সরকারের মধ্যম আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না।

অন্যতম প্রাচীন সংবাদমাধ্যম 'লয়েডস লিস্ট' এর ২০১৬ সালের জরিপে (২০১৭ সালে প্রকাশিত) বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৭১তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালে জরিপে (২০১৬ সালে প্রকাশিত) বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৭৬তম। আর ২০০৮ সালে ছিলো ৯৮তম স্থানে।  

জরিপে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন ও সিঙ্গাপুর। বিশ্বের চার হাজার বন্দরের মধ্যে ৫০০টি বন্দর নিয়মিত কন্টেনার হ্যান্ডলিং করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।