অভিযোগসূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে স্যামসাংয়ের জে২ মডেলের একটি মোবাইল ফোনসেট ক্রয় করেন। চলতি বছরের ৫ নভেম্বর মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি ওই ফোনটি নিয়ে স্যামসাংয়ের ঢাকার পল্টনস্থ সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গেলে সার্ভিস সেন্টারের একজন মোবাইলটি রেখে যেতে বলেন। তাকে জানানো হয়, বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাদের ইঞ্জিনিয়ার ফোনে জানাবেন ফোনটি ঠিক করতে কত টাকা লাগবে। ইঞ্জিনিয়ার যে অংক বলবেন তা দিয়ে ঠিক না করালে সার্ভিস চার্জ হিসাবে ৩৫০ টাকা দিতে হবে। এরপর তিনি মোবাইল ফোসসেটটি তাদের কাছে রেখে আসেন।
পরদিন (৬ নভেম্বর) সার্ভিস সেন্টার থেকে ফোনে তাকে জানানো হয়, মোবাইলের মাদারবোর্ড, ব্যাটারি ও ডিসপ্লে বাবদ সাত হাজার পাঁচশত টাকা লাগবে। তিনি ওই টাকা দিয়ে ফোনটি ঠিক করবেন কিনা তা জানতে চাওয়া হয়।
অভিযোগকারী তাদের ‘না’ বলে দিয়ে ওইদিনই ৩৫০ টাকা জমা দিয়ে মোবাইল ফোনসেটটি ফেরত নিয়ে আসেন।
এরপর তিনি একই ভবনের অন্য একটি দোকান থেকে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে মোবাইল ফোনসেটটি ঠিক করিয়ে নেন। আজ অব্দি তিনি এটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছেন।
অভিযোগকারী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্যামসাং কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারের ম্যানেজারের সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তাকে জানালে ম্যানেজার কর্তব্যরত ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ম্যানেজার ও ইঞ্জিনিয়ার কেউই কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এতে ভোক্তা আমিনুল ইসলাম আশঙ্কা করেন যে, স্যামসাং কোম্পানি প্রতারণার মাধ্যমে মিথ্যা ভাউচার দিয়ে জনগণের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা অন্যায়ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে।
উক্ত অভিযোগ দায়ের করার পর গত ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি হয়।
আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার চাই। ’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে অভিযোগটির বিষয়ে ফের শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমআই/জেএম