এলপি গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৪র্থ বারের মতো দেশব্যাপী এ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও জয়পুরহাটে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে দোহারের রোজ ভিউ রেস্টুরেন্টে এ কর্মশালাটি প্রতিনিধিত্ব করেন বসুন্ধরা এলপিজি’র হেড অফ ডিভিশন সেলস মীর টিআই ফারুক রিজভী।
তিনি বলেন, এলপি গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য বোঝাতেই প্রতি বছরের মতো এবারও উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। সহজ জ্বালানি হিসেবে এলপি গ্যাস খুবই পরিচিত। এর ব্যবহারবিধিও অত্যন্ত সহজসাধ্য। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের মান কেমন। যেহেতু বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর বাজারজাত করা হয়, ফলে এর সিলিন্ডারের সর্বোত্তম সুরক্ষা নিশ্চিত হয় এবং গুণগত মান অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডার থেকে অনেক বেশি
নির্ভরযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, করপোরেট দায়বদ্ধতা থেকে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস দেশব্যাপী গৃহিণীদের সচেতনতায় এ ধরনের ক্যাম্পেইন সবসময়ই আমরা আয়োজন করে থাকি, তারই ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা নিরাপদ নিবাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছি। ইতিমধ্যে ৩০টি জেলায় এ কর্মশালা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি এলপি গ্যাস ব্যবহার বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত, সাবধানতার কৌশল বিষয়ে বিশদ আলোচনা ও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানটির নতুন মাত্রা হিসেবে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। তিনি বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের উদ্যোগে নারীদের নিয়ে এ ধরনের সচেতনতামূলক আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। গৃহিণীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে এ ক্যাম্পেইনের স্বার্থকতা।
আর বিশেষ করে আমরা সবাই এখান থেকে নতুন নতুন অনেক কিছু শিখে যেতে পারছি, আর এ শেখাটাই কিন্তু অনেক বড় একটি ব্যাপার।
জনসচেতনতামূলক এ ক্যাম্পেইনে প্রায় ১০০ জন গৃহিণী অংশ গ্রহণ করেন। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, ঢাকা ছাড়াও আরও বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে এ ক্যাম্পেইন।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষে সেলস অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন টিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহ স্থানীয় পরিবেশক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। র্যাফল ড্র, আপ্যায়ন ও শুভেচ্ছা উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এসএইচ