মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের ২০ আগস্ট মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আমদানিকরা কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশে ইসলামপুর নেয়া হয়।
মইনুল খান আরও বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা একটি কমিটি গঠন করে মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। এরপর আরও একটি পণ্যচালান ইসলামপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের টহল টিম সেটিও আটক করে ঢাকা কাস্টমস হাউসে মামলা দায়ের করে। অনুরূপভাবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জরিমানা ও যাবতীয় শুল্ক-করাদি আদায়পূর্বক সেই মামলাটিও নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গঠিত অনুসন্ধান দল মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. ও রূপালী ব্যাংক লি. এর আমদানি ও রফতানি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও, বিজিএমইএ হতে ইস্যূকৃত ইউডি সমূহ সংগ্রহ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিআইএস সেল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এরপর দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত ১২৬ কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৮ টাকার কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে গত বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ড সুবিধায় শুল্ক-করাদি মুক্তভাবে আমদানি পূর্বক মোট ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬১.১৩ কেজি কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি করেছে।
মইনুল খান আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির অপরাধ দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ৯০, ৯৭ ও ১৩(১) এর সঙ্গে পঠিতব্য বন্ডেড লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ এর বিধিসমূহ এবং লাইসেন্সি কর্তৃক পালনীয় শর্তাবলীর শর্ত নং ২ ও ৫ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ১২৬ কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৮ টাকার কাঁচামাল আমদানির মধ্যে ১২০ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৪৩ টাকা ৮৮ পয়সার রাজস্ব ফাঁকি মামলা দায়ের করে বিচারের জন্য বন্ড কমিশনারেট, ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বন্ড সুবিধার অপব্যহারের মাধ্যমে আলোচ্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন বিধায় উল্লিখিত অর্জিত অর্থ ‘ডার্টি মানি’ হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এসজে/এসএইচ