বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর টাউন হল চত্বরে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
টিপু মুন্সি বলেন, আগামীতে বিড়ি শ্রমিকরা বেঁচে থাকবে, নাকি মরে যাবে সেটা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে উদ্দেশ্য করে সংসদীয় কমিটির এ সভাপতি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বিড়ি শিল্প বন্ধ করে সিগারেট রাখা যাবে না। যদি সিগারেট থাকে তাহলে বিড়িও থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, অর্থমন্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্ত ও পক্ষপাতিত্বের কারণে বিড়ি শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে। বিড়ি শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই বিড়ির ওপর থেকে ট্যাক্স কমিয়ে বিড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া বিড়ি শিল্পের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা বিড়ি শিল্পই। সুতরাং বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করা যাবে না।
গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের (আরডিসি) সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, বিএটিবি (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ) দেশের জন্য কিছুই করেনি। বরং তারা দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী ২৫ লাখ মানুষকে হত্যা করতে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে চান অভিযোগ করে জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, প্রধানমন্ত্রীও বিড়ির ওপর ট্যাক্স কমাতে বলেছেন, কিন্তু অর্থমন্ত্রী সে কথাও শুনছেন না। বিএটিবি যে পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে, সেটা নিয়ে দুদককে কাজ করতে হবে। কারা এই ফাঁকির সঙ্গে যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা দুদকের কাজ।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙ্গালী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হারিক হোসেন, সদস্য শামীম হোসেন, আবুল হাসনাত লাভলু, রংপুর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এসজে/এইচএ/