সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছর বহুজাতিক কোম্পানিগুলো দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিমা করছে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে, যা নিয়ম বর্হিভূত।
সূত্র বলছে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে বিমা দেশীয় কোম্পানির আওতায় আনতে গত ২৪ ডিসেম্বর বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) একটি চিঠি দিয়েছে এসবিসি।
এসবিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসানের ওই চিঠিতে বলা হয়, আইন অনুযায়ী দেশের বিমাযোগ্য সকল সম্পদের অনুকূলে শুধুমাত্র দেশীয় বিমা প্রতিষ্ঠান থেকে সব ধরনের বিমা পলিসি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই তা লঙ্ঘিত হচ্ছে।
বহুজাতিক কোম্পানির বিমা দেশের বাইরে চলে গেলে একদিকে যেমন প্রিমিয়াম আয় কমে যাচ্ছে অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা বিমা আইনের পরিপন্থি।
বিমা আইন-২০১০ এর ১৯ নং ধারায় বলা আছে, বাংলাদেশের কোনো সম্পত্তি বা স্বার্থের কোনো ঝুঁকির বিমা দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সনদপত্র ছাড়া বিদেশে করতে পারবে না। তবে বৈদেশিক বহুজাতিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের বিমা ঝুঁকি দেশের বাইরে করা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থি।
তাই বাংলাদেশে অবস্থিত সব বৈদেশিক বহুজাতিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের অনুকূলে প্রয়োজনীয় বিমাপত্রগুলো দেশীয় সরকারি বা বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে ওই আইনে।
চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে এসবিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের সংশ্লিতা বা স্বার্থ রয়েছে বৈদেশিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের বিমা পলিসি এসসিবি থেকে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে বিমা শিল্পের উন্নয়ন এবং জাতীয় রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরে একটি প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আশা করছি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গ্রীণ ডেল্টা ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারজানা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, উদ্যোগটি বেশ ভালো। সরকারের উচিৎ আইনের মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানিকে দেশের কোম্পানিতে বিমা করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএফআই/এমএ