প্রতিমন্ত্রী থেকে একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে সোমবার (০৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা রফতানির (ইলিশ) দিকেও যেতে চাইছি।
২০১২ সালের জুলাই থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় সরকার। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে এরইমধ্যে রুপালি ইলিশ ভৌগোলিক পণ্য নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছে।
ইলিশের দাম না কমিয়ে রফতানির উদ্যোগ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দাম না কমিয়ে রফতানি করতে যাচ্ছি, এ কারণে যে গোপনীয়ভাবে যে মাছগুলো চলে যায় সে মাছগুলো কিন্তু প্রাকটিক্যালি বড় বড় মাছ চলে যায়। আমাদের মার্কেটে আসে কম। সেজন্য মার্কেটে কিন্তু দেখেন ষোলশ’ টাকা বড় মাছের কেজি, ছোট মাছ কিন্তু দাম কম। অতএব, বড় মাছটি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে গেলে গোপন পথটি বন্ধ করতে হবে, সদর পথটি বন্ধ করতে হবে।
গোপন পথ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নৌপুলিশ, নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন এজেন্সি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। বিজিবির সঙ্গে মিটিং হয়েছে।
তিনি বলেন, সমুদ্র সীমানা প্রায় বাংলাদেশের সমান। দুর্যোগের সয় ওরা এতো বেশি সাহসী, ওই সমুদ্রে সম্পূর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সুযোগটি নেয়। একেবারেই লিকেজ হবে না, সেটাও গ্যারান্টি একশ’ ভাগ সবসময় দেওয়া সম্ভব হয় না। আমরা সেটাও চেষ্টা করছি।
উপকূলের জেলেদের দাদনের হাত থেকে মুক্ত করার জন্যও পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো এদেরকে দাদনবিহীন করে স্বাবলম্বী করে তোলা যায় কিনা। সে ধরনের একটা প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কিনা, দ্রুতগতিতে। উনিশ’ কোটি টাকার প্রকল্প পাইপলাইনে আছে। এটা যদি হয় তাহলে জাল, বোট দিয়ে ওদেরকেই স্বাবলম্বী করা গেলে ওরা দাঁড়াবে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রজেক্ট চলছে। বিশেষ করে মা ইলিশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়া, জাটকা নিধন বন্ধ করার প্রকল্প চলবে। একইসঙ্গে বিচরণ ক্ষেত্রগুলো যাতে সংরক্ষিত থাকে সেক্ষেত্রে ড্রেজিং শুরু হয়েছে অনকে নদীতে। সে কাজটি নৌ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সচিব মাকসুদুল হাসান খান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
মাংস আমদানির প্রয়োজন নেই
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস