১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি সবজির দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। শীতে সবজির চাষ নষ্ট ও পরিবহন সংকট এই দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলেও বিক্রেতারা জানান।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ৩০ টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে ৫০ টাকায়, সিম ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, আলু ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, দেশি টমেটো ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আগের দামে রয়েছে আমদানি করা টমেটো ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ২০-২৫ টাকা করে প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর-৬ নম্বরের সবজির খুচরা বিক্রেতা আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড শীতে সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শীত ও কুয়াশায় সবজির ট্রাক সময়মতো ঢাকায় আসছে না। এসব কারণে হঠাৎ করে সবজির দাম বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, এভাবে আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে সবজির দাম আগের বাড়তি দামের কাছে পৌঁছে যাবে।
অন্যদিকে পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝ কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ইতোমধ্যে খুচরা বাজারে নতুন পেঁয়াজের চালান আসলেও দাম কমছে না পেঁয়াজের।
সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজও একই দামে ৭০ করে বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর-১০ নম্বরে বাজার করতে আসা ক্রেতা জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিনের জন্য সবজির দাম কমেছিল ঠিকই। কিন্তু আবার দাম বেড়ে গেলো। এই শীত মৌসুমে সবজির দাম সব সময় কম থাকে, কিন্তু এবারই এই অবস্থা চলছে।
এছাড়া সবজির দামের পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম নিয়েও অনেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে খুচরা বিক্রেতা মো. জসিম বাংলানিউজকে বলেন, দেশি পেঁয়াজে বাজারের চাহিদা মিটছে না। আর পেঁয়াজের আমদানি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তাই দাম এখনও বেশি চলছে।
চালের বাজারের অস্থিরতা এখনও বিরাজমান। চালের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫২ টাকা, পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়।
অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম।
মাছের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, জনুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএসি/আরআর