সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা যায়।
আরএফএল ইটালিয়ানো মেলামাইন প্যাভিলিয়নে পণ্য কিনতে আসা আসমা হুমায়রা বাংলানিউজকে বলেন, এখানে প্রতিটি পণ্যে ১৫-৫০ শতাংশ পযর্ন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
প্যাভিলিয়নে দায়িত্বরত সজীব মজুমদার বলেন, কেনা-বেচা অনেক ভালো। প্রতিদিন আমাদের ২০ লাখ টাকার বেশি কেনা-বেচা হয়। আমাদের স্টলে দুই শতাধিকের বেশি আইটেম রয়েছে। ক্রেতা সাধারণের পছন্দ হতেই হবে। আর বিক্রি ভালো হওয়ায় আমরাও খুশি।
চায়না ফ্যাশনে পছন্দের কানের দুল কিনছেন বিথী আক্তর। মেলায় দাম কেমন জানতে চাইলে বলেন, দাম কম। একটি বিদেশি কানের দুল ৫০-১০০ টাকায় পাওয়া যাবে ভাবতেই পারিনি। তবে এই দুল অভিজাত শপিং সেন্টারে গেলে হাজার টাকা হয়ে যাবে। তাই মেলায় কম দামে বাহারি পণ্য পেয়ে আমরা খুশি।
স্টলটির ম্যানেজার সোহেল বলেন, আমরা সূলভ মূল্যে ভালো ও বিদেশি পণ্য ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এজন্য ক্রেতারাও আমাদের স্টলে ভিড় জমাচ্ছেন। ভালো পণ্য আবার দামও কম। ফলে সবাই কিনতে পারছেন। আর বেশি বিক্রি হওয়ায় আমরা খুশি।
এদিকে মেলায় ফিট এলিগেন্সের প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৩৬০০ টাকায় ব্লেজার ও স্যুট বিক্রি করছে।
কমদামি পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন করতেই ব্লেজার ক্রয়ে আসা রাফাত বলেন, ফিট এলিগেন্সের সব পণ্য মানসম্পন্ন। একই ব্লেজার বাইরের শো-রুমে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এছাড়া ব্রান্ডের পণ্য এতো কম দামে পাওয়া যায় না।
ফিট এলিগেন্সের প্যাভিলিয়নে কমর্রত সোহেল শাহরিয়ার বলেন, আমরা ব্লেজার ও স্যুট বিক্রি করে কুলিয়ে উঠছি না। সকালে পণ্য আসার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সব শেষ। তবে অগ্রিম অর্ডারের ব্যবস্থা থাকায় অনেক ক্রেতার সুবিধা হয়েছে।
এবারের মেলায় ১৭টি দেশের মোট ৪৩টিপ্রতিষ্ঠানের স্টল বা প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে ২টি শিশুপার্ক, সুন্দরবনের আদলে একটি ইকো পার্ক। মেলার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় আনসার ও ভিডিপি, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বিজিবি এবং র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ পর্যবেক্ষণের জন্য ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫,২০১৮
এসজে/জেডএস