‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) মিলনায়তনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে এর কাজ ২০২০ সালের জুনের মধ্যেই শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ মহাউদ্যোগ বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি)। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন প্রকল্পটির আওতায় আসার প্রধান শর্ত থাকবে— শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে ৩০০ থাকা।
মহানগরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছয়তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ও মহানগরের বাইরে পাহাড়ি ও লবণাক্ত এলাকায় চারতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সমুদ্র-উপকূলবর্তী এলাকা, হাওর, নদী, বিল-বেষ্টিত এলাকায় একাডেমিক ভবন ছাড়াও শেল্টার-বন্যাশ্রয় কেন্দ্র বানিয়ে দেওয়া হবে। মোদ্দা কথা, শহর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সম্প্রসারণ করা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় উন্নতমানের আসবাবপত্রও সরবরাহ করা হবে।
এ বিষয়ে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের শিক্ষা উইংয়ের প্রধান (যুগ্ম-সচিব) খলিলুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনেই ১০টি করে ৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ভবন নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় এমপির চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই এ উন্নয়ন কাজ হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানা কারণে বিশাল ব্যয়ের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ‘ফিমেল সেকেন্ডারি বৃত্তি’ কর্মসূচির ফলে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ৯১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়লেও অবকাঠামোগত কারণে এসব শিক্ষার্থীর বিরাট একটি অংশ মাধ্যমিক শিক্ষার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
বর্তমানে দেশে ৩২৭টি সরকারি ও ১৯ হাজার ৩৫৭টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই ৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ করবে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/