মঙ্গলবার ( ১৬ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিভিন্ন শিল্প কারখানায় আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবইলসহ অসংখ্য পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল হিবেবে ব্যবহৃত হয় নাট, বোল্ট ও স্ক্রু।
বাংলাদেশে এ খাতের বিশাল বাজার রয়েছে। যার বেশিরভাগ আমদানি নির্ভর। ওয়ালটন এখন দেশেই তৈরি করছে আমদানি বিকল্প বিশ্বমান সম্পন্ন নাট, বোল্ট ও স্ক্রু।
২০১৭ সালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজে স্থাপন করা হয়েছে নাট-বোল্ট ও স্ক্রু’র উৎপাদন কারখানা। যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৮০০ টন। নিজস্ব চাহিদা ৩৬০ থেকে ৪০০ টন। সেই হিসেবে প্রায় ১৩০০ টন নাট-বোল্ট-স্ক্রু দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।
এরইমধ্যে দেশীয় কিছু ফার্নিচার, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের পণ্য দেশে উৎপাদিত হওয়ায় আর আমদানিতে করতে হবে না ভেবে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এর মান নিয়েও। বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও রফতানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ওয়ালটনের স্ক্রু আরএনডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের প্রধান পৃথ্বিশ কুমার সাহা বলেন, বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও দক্ষ প্রকৌশলী-টেকনিশিয়ানের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে নাট-বোল্ট ও স্ক্রুর উৎপাদন ইউনিট। বিশ্বের সর্বাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।
ওয়ালটন কম্প্রেসার আরএনডি বিভাগের প্রধান মীর মুজাহিদীন ইসলাম বলেন, কম্প্রেসারে ছয় ধরনের স্ক্রু লাগে। এসব স্ক্রু’র থ্রেড ও স্কেলিং সঠিক না হলে কম্প্রেসারে লিকেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই, কম্প্রেসারে ব্যবহৃত স্ক্রু উচ্চ গুণগতমানের হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালটন কম্প্রেসারে ব্যবহৃত স্ক্রু আগে ইটালি থেকে আনা হতো। ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের সমমানের স্ক্রুই এখন ওয়ালটন তৈরি করছে।
দেশীয় শিল্পোদ্যাক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওয়ালটনের তৈরি নাট-বোল্ট ও স্ক্রু’র প্রতি নিশ্চিন্তে শতভাগ আস্থা রাখা যায়।
ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, দেশ-বিদেশে নাট, বোল্ট ও স্ক্রু’র মতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলোও এসব আউটসোর্সিং করে থাকে। ওয়ালটন নিজেরা এসব পণ্য তৈরি করায় ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগোলো। যা দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
ওএইচ/